শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষাঙ্গন

সাগরকন্যার ডেবিট ক্রেডিট

প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাগরকন্যা আর ডেবিট ক্রেডিট এই দুই শব্দের সাথে জড়িয়ে আছে কুয়াকাটা আর হিসাববিজ্ঞানের নাম। হ্যাঁ, গত ২ মার্চ সাগরকন্যা থেকে ঘুরে এল গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বসন্তের আবহাওয়া আর সাগরের বিশালতার সুযোগ নিয়ে এই শিক্ষা সফরের শুরু। তাই ক্লাস, পরীক্ষা, এসেনমেন্ট, প্রেজেন্টেশনের ছকে বাধা জীবন থেকে কিছুটা রেহাই পেতে ও পুরো উদ্যোম নিয়ে কাজ করতে তাদের এই আনন্দ ভ্রমণ ।
শুরুটা হয় ২ মার্চ রাত ১১.৩০ এ ক্যাম্পাস থেকে বাস ভ্রমণের দ্বারা। দুইটি বাসে বিবিএ এর হিসাববিজ্ঞান পরিবার। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের আনন্দ নিয়ে তাদের আনন্দ শুরু। রাতে দুটি বাসে গানের তালে তালে যাত্রা শুরু হয়। তাদের যাত্রা ছিল, হানিমুনের গানের তালে। তাইতো বাসের সকলের গলায় ভেসে উঠল, কুয়াকাটার জোয়ার ভাটায় হানিমুনে যাব ।
দীর্ঘ ৫ ঘণ্টার বাস ভ্রমণ!!! গোপালগঞ্জ থেকে বরিশাল ও পটুয়াখালী হয়ে শেষমেষ ভোরেই হল তাদের সাগরকন্যার বিচে অবস্থান। এত বড় জার্নি তারপরেও ক্লান্তির অবসাদ নেই তাদের মাঝে। সারারাত গলা ছেড়ে গানের আভাসের ক্লান্তির প্রতিফলন গুঁড়িয়ে গেল কুয়াকাটার সাগরের বাতাসের তালে তালে। সকালে হোটেলে হালকা খাবারের পর সকলের নেমে পড়ল বিচের কোলে, হয়ে গেল ফুটবল। বালি ছুড়াছুড়ি, পানিতে ভিজা, ঝাঁপাঝাঁপি।
এরপর বৌদ্ধ মন্দির !!! বৌদ্ধ মন্দিরটি মিশ্রীপাড়াসীমা বৌদ্ধ বিহার নামে পরিচিত। যার ভিতরে গেলে দেখা যাবে বৌদ্ধের বিশাল মুর্তি। এর পাশেই রয়েছে একটি স্কুল । আর তার পরেই বিশাল কুয়া। ঠিক কিছুদূর গেলেও রাখাইন পল্লী। তাদের সঙ্গে হলো রাখাইনদের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি । রাখাইনদের মধ্যে একজন বলল, তাদের গোটা দিন যায় পর্যটকদের আশায়। তাত শিল্পের উপর হাতে বোনা কাপড়, নিজেদের তৈরি পিঠা বিক্রি করেই রাখাইন পল্লী চলে। তবে বেশির ভাগই কৃষিকাজ ও দোকানপাটের ব্যবসায় নিয়োজিত। কেউ কেউ কাজ করে কুয়াকাটার হোটেলগুলোতে। রাখাইনদের কয়েকটি দোকানে বেশ ধুম পড়ে গেল সাথে সাথে। নিজেদের হাতে বোনা কাপড়, সালোয়ার আর পাঞ্জাবির আকর্ষণ ছিল সবার মাঝে ।
১১.৩০ এ আমরা ফিরে গেলাম ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে। বিদায় দিলাম সাগরকন্যাকে। কিন্তু আনন্দ কি আর থামে? বাস গিয়ে থামল বরিশালের গৌরনদীতে। দুপুরের খাওয়া দাওয়া আর বিখ্যাত গৌরনদীর দই চুকিয়ে আয়েশ করে বাসে গান গাওয়া শুরু করল সবাই। সবশেষ বিকেল ৬টায় পৌঁছান হলো ক্যাম্পাসের মাটিতে।
ষ তন্ময় বিশ্বাস

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন