কূটনৈতিক সংবাদদাতা : বাংলাদেশীদের জন্য ভিসার নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে জানিয়েছেন রয়্যাল থাই দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স পাশতি সুদাবুদ্দি। তিনি বলেছেন, সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে ‘অনুমানভিত্তিক’ প্রতিবেদন তাদের নজরে এসেছে। কাগজপত্র ঠিক থাকলে ভিসার আবেদন করার দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে থাইল্যান্ডের ভিসা পাওয়া যাবে। এটি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কিছু নেই বলেও জানান তিনি। গতকাল রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
থাইল্যান্ড সপ্তাহ শুরু উপলক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, ডিআইটিপির নির্বাহী পরিচালক ও পরামর্শক (ব্যবসা) সুইমল তিলকরুয়ানচাই ও বাংলাদেশ থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে পাশতি সুদাবুদ্দি বলেন, থাইল্যান্ডের ভিসা পাওয়া নিয়ে অনেক নেতিবাচক কথা শোনা যাচ্ছে। এটি তাদের নজরে এসেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশীদের জন্য থাইল্যান্ডের ভিসা নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। কাগজপত্র ঠিক থাকলে ভিসার আবেদন করার দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে থাইল্যান্ডের ভিসা পাওয়া যাবে। তবে কাগজপত্র ঠিক না থাকলে সেক্ষেত্রে দেরি হতে পারে। তিনি জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে থাইল্যান্ডের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে যা আগামীতেও তা অটুট থাকবে।
২০১৫ সালে তারা মেডিকেল টুরিস্ট ক্যাটাগরিতে ৩ হাজার ৮৭৬টি ভিসা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আগামী ১৬ মার্চ সন্ধ্যা সাতটায় থাইল্যান্ড সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন। ১৬ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ১৯ মার্চ পর্যন্ত চার দিনব্যাপী রাজধানীর বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে এই প্রদর্শনী চলবে। ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড প্রমোশন (ডিআইটিপি), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রয়্যাল থাই সরকার এবং রয়্যাল থাই দূতাবাস যৌথভাবে এই আয়োজন করতে যাচ্ছে। চার দিনের এই প্রদর্শনী দুটি অংশে বিভক্ত থাকবে। প্রদর্শনীটি ১৬ ও ১৭ মার্চ ব্যবসায়ীদের জন্য এবং ১৮ ও ১৯ মার্চ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রতিদিন প্রদর্শনী শুরু হবে সকাল ১০টা থেকে। শেষ হবে রাত আটটায়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই প্রদর্শনী রয়্যাল থাই সরকারের একটি স্বতন্ত্র প্রচেষ্টা যা বাংলাদেশের লাভজনক ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা প্রসারিত করতে ভূমিকা রাখবে। এই প্রদর্শনীতে ৩৯টি থাই পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের গার্মেন্টস ও ফ্যাশন অনুষঙ্গের জিনিসপত্র, খাবার, পানীয়, ভারী শিল্প ও আনুষঙ্গিক পণ্য প্রদর্শন করবে।
বিভিন্ন বিষয়ে থাই বিশেষজ্ঞরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে। এ কারণে সেখানে ডিআইটিপির আলাদা ওয়ান স্টপ বুথ থাকছে। এ ছাড়া প্রতিদিন থাইল্যান্ডের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও থাই খাবারের পসরাও থাকবে সেখানে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে থাইল্যান্ডের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় লাগার অভিযোগের প্রেক্ষিতে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিম থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানান।