শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মাদরাসার চেয়ে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিতরাই জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত-আইজিপি

শামসুল হুদা লিটন কাপাসিয়া (গাজীপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পুলিশের মহা পরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, আমাদের এক সময় ধারনা ছিল, কওমী মাদরাসায় রয়েছে জঙ্গি। কিন্ত বর্তমানে আমাদের ধারনা পাল্টে গেছে। বর্তমানে মাদরাসায় জঙ্গির সংখ্যা নেই বললেই চলে। কলেজ বিশ^ বিদ্যালয়ের এক শ্রেণীর ইংরেজী শিক্ষিতরাই জঙ্গিবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে পড়ছে। মাদরাসার চেয়ে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিতরাই জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত। রোহিঙ্গারা যাতে দেশের ভিতর ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এমনকি যাত্রীবাহি বাস, সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহনেও করা হচ্ছে তল্লাসি। সারা দেশে গোয়েন্দা নজরদারিও নেয়া হয়েছে। তিনি গতকাল শনিবার বিকালে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ‘টোক নয়নবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র’ উদ্বোধন করতে এসে এসব কথাগুলা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা মানুষ আমাদের দেশের নাগরিকদের সাথে যেন মিশে যেতে না পারে এবং কোনো আইন শৃঙ্খলা নষ্ট করার কাজে জড়িয়ে না পড়ে তার দিকেও আমরা নজর রাখছি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। এক সময় তাদের স্বাধীন দেশ ছিল। অনেকটা চক্রান্ত করে এসব রোহিঙ্গা মুসলিমদের ১৯৮২ সাল থেকে নাগরিকত্ব থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এসব রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর বিভিন্ন সময় নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। গত ২৫ আগষ্ট থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর যে নির্যাতন চালানো হচ্ছে তা অত্যন্ত অমানবিক।
আইজিপি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে আমাদের দেশের এক শ্রেণির লোক রাজনীতি করতে চাচ্ছে। যা ঠিক নয়। শুধুমাত্র কোর্ট-কাচারী ও জঙ্গিবাদ দমন করা সম্ভব নয়। এর জন্য জনগনের সহযোগিতা করা দরকার। জনগনই পুলিশের চোখ-কান। পুলিশকে বিভিন্ন সময়ে নিজেদের নিজস্ব কাজে ব্যবহার করার কারনে, তাদের মাঝে এক ধরনের মেজাজ সৃষ্টি হয়েছে। জনগনের সাথে পুলিশের দূরত্ব কমাতে হবে। জনগন পুলিশকে ভয় পেলে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হবে না। সর্বত্রই মাদকের ছড়াছড়ি, সহজ সভ্যতা। কেউ মাদক বিক্রি করে, কেউ সেবন করে, কেউ সহায়তা করে। অনেক সময় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে, মাদক বিক্রেতার সাথে থানা পুলিশের সাথে সখ্যতা রয়েছে। এব্যাপারে অভিযোগ প্রমান হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন সবার জন্য সমান।
এ সময় অনুষ্ঠানে স্থানীয় এমপি বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি বলেন, আমার ছোট ভাই সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ কাপাসিয়ার টোকে একটি তদন্ত কেন্দ্রের জন্য প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিল। তিনি আরো বলেন, আমরাও ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই রোহিঙ্গাদের মতো পাশর্^বর্তী দেশে শরনার্থি হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিলাম। রোহিঙ্গাদের দেখে ৭১ সালের কথা মনে পড়ে।
পুলিশের তদন্ত কেন্দ্র উদ্বোধন পরবর্তী শরীফ মোমতাজ উদ্দীন আহমেদ ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত সূধি সমাবেশে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গতাজকন্যা সিমিন হোসেন রিমি এমপি। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন, পুলিশ মহা পরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এডভোকেট রেজাউর রহমান লস্কর মিঠু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেল শেখ, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাকছুদুল ইসলাম, থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন গাজীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল হক, কাপাসিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা জয়নাল আবেদীন প্রমূখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Manik Bhuiyan ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:১১ এএম says : 0
Right100%
Total Reply(0)
Ahmad Anam ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:১৩ এএম says : 0
মুখ দিয়ে বলেন, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু অন্তরে বিশ্বাস করেন তো ?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন