মূলত শীতকালীন সবজি ফুলকপি, কিন্তু আজকাল প্রায় সারা বছরই বাজারে ফুলকপি পাওয়া যায়। এটি খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি। দেখতে ফুলের মতো বলে এই সবজিকে বলা হয় ফুলকপি। এর চারদিকে ঘেরা থাকে পাতায়। দেখতেও খুব সুন্দর। ফুলকপি কাঁচা, সিদ্ধ ও ভাজা ছাড়াও আরও অনেকভাবে খাওয়া যায়। এটি খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। এখন এর পুষ্টিমান, ভিটামিন, মিনারেল, ভেষজ বা ওষুধি গুণ, উপকারিতা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। ফুলকপির পুষ্টিমানÑ ফুলকপিতে পাওয়া যায় অল্পমাত্রার ফ্যাট ও বেশি মাত্রার ডায়েটেরি ফ্যাট। এতে আছে ফোলেট ও ভিটানি ‘সি’। ফুলকপিতে আছে অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান-৩ কার্বিনল এবং ফোটোনিউট্রিয়েন্ট সালফোরাপেন। এতে রয়েছে খায়োসায়ানেটস এবং গ্রুকোসিনোলেটস। এ থেকে পাওয়া যায় অ্যালিসিন নামের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভিটামিন রিবোফ্লিভিন (ভিটামিন-বি ২) ০.০৬৩ মিঃ গ্রাঃ, থিয়ামিন (ভিটামিন-বি১) ০.০৫৭ মিঃ গ্রাঃ, নিয়াসিন (ভিটামিন-বি৩) ০.৫৩ মিঃ গ্রাঃ, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (ভিটামিন-বি৫) ০.৬৫ মিঃ গ্রাঃ, ফলেট (ভিটামিন-বি৯) ৫৭ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন-সি ৪৬ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন-বি৬ ৫৭ মাইক্রোগ্রাম মিনারেল আয়রন ০.৪৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ২২ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম ১৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ৩০০ মিলিগ্রাম ফসফরাস ৪৪ মিলিগ্রাম জিংক ০.২৮ মিলিগ্রাম প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা ফুলকপিতে যা পাওয়া যায় কর্বোহাইড্রেট ২৫ কিলোক্যালোরি এনার্জি ৫ কিলোক্যালোরি সুগার ২.৪ কিলোক্যালোরি ফ্যাট ০ কিলোক্যালোরি , ডায়েটরি ফাইবার ২.৫ গ্রাম ফুলকপির উপকারিতা : ফুলকপি হার্টের সুস্বাস্থ বজায় রাখে ও হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন যে পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ দরকার তার প্রায় ৬৭ শতাংশ পাওয়া যায়। এই ইমিউন সিস্টেম বা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সালফোরাফেনের কারণে ফুলকপি বেস্ট টিউমারসহ বিভিন্ন টিউমারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ফুলকপি কোলেস্টেরলের মাত্রা সহনীয় রাখে। দেহ কোষ গঠনেও বিভাজনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। বেশি মাত্রার ফাইবারের কারণে ফুলকপি কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে বিশেষ সহায়ক।
ষ আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন