কলারোয়া (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা
বিভিন্ন মামলায় পলাতক ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী চোরাচলানীদের হুমকিতে কলারোয়ায় নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর খুন, ডাকাতি, রাহাজানি, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও চোরাকারবারী তৎপরতায় অভিযুক্ত হয়ে দীর্ঘদিন ভারতে বা দেশের বিভিন্ন এলাকায় পলাতকরা ফিরতে শুরু করে। অনেক চেয়ারম্যান/মেম্বর প্রার্থী প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য খবর দিয়ে পলাতক অপরাধীদের এলাকায় ফিরিয়ে এনেছে। আর অপরাধীরা টুপাইস কামাতে এবং ভবিষ্যতে এলাকায় বিজয়ী চেয়ারম্যান বা মেম্বরের প্রভাব বলয়ে অবস্থান নিয়ে সুখে দিন যাপনের আশায় পছন্দের প্রার্থীর দলে ভিড়ছে। বছরের পর বছর পলাতক বা আত্মগোপনে থাকা অপরাধীরা ফিরে আসছে। ভারতে পলাতক ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকা অপরাধী ফিরে আসায় তাদের অপতৎপরতায় কলারোয়ার গ্রামগঞ্জ প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে। পছন্দের প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে প্রতিপক্ষকে হুমকি-ধামকি এমনকি জীবননাশের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত দিয়ে পরিবেশ অস্থিতিশীল করে তুলছে। এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, চান্দুড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধা শুকুর আলীর পুত্র মহম্মাদ আলী হত্যা মামলায় (কলারোয়া থানার মামলা নং-২৮, তাং ৩১/১০/১৪) এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী সেলিম সদলবলে এলাকায় ফিরে এক প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে। প্রতিপক্ষের লোকজন ভোট কেন্দ্রে গেলে রক্তে বন্যা সৃষ্টির হুমকি দিচ্ছে। অপর সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ দায়েরকৃত কলারোয়া থানার মামলা নং-৫৩, তাং ২৬/০৭/১২ (এসটিসি মামলা নং-৯/১৩)-এর পলাতক আসামী দুর্ধর্ষ চোরাকারবারী ঘাট মালিক আজিজুল হক (জুলু) এলাকায় ফিরে এক প্রার্থীর পক্ষে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। প্রতিপক্ষের ভোটারদের কেন্দ্রের ত্রিসীমানায় না যাওয়ার জন্য সতর্ক করে দিয়েছে। একইভাবে পলাতক অপরাধীরা এলাকায় ফিরে গত ১১ মার্চ সন্ধায় যুগিখালী বাজারে পাইকপাড়া গ্রামের রবিউল(৩৭), আবুল হোসেন(৫২), জব্বার (৫৫), বারিক (৩৫)-কে বেধড়ক মারপিট ও তা-ব সৃষ্টি করে বলেও সূত্র জানায়। ফলে এসব এলাকায় নির্বাচনী আমেজের বদলে আতংক বিরাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন