শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহি না

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহিনা
(৬) হযরত আইয়্যুব (আ:) দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত কঠিন রোগ ভোগের পর আশুরার দিবসে আরোগ্য লাভ করেন। হযরত আইয়্যুব (আ:) ছিলেন হযরত ইসহাক (আ:)-এর পৌত্র। তিনি ছিলেন সম্পাশালী, মস্তবড় ইবাদতকারী, ও ধৈর্যশীল বান্দাহ। তাঁর এক হাজার মোড়া, দুই হাজার উট, এক হাজার ভারবাহী গাধা, এক হাজার গবাদি পশু, দশ হাজার বকরী, এবং খেদমতগার হিসেবে পাঁচ শত দাস-দাসী ছিল। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত তাঁকে পরীক্ষায় ফেললেন। এক সময় তাঁর সকল ছেলে মেয়ে মারা গেল। স্ত্রীগণ-যার যার বাবার বাড়ীত পাড়ি জমালেন, বিবি রহিমা ছাড়া। এ সময় তিনি কঠিন কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হলেন। বিবি রহিমা তাঁর খেদমত করতে লাগলেন। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত হযরত আইয়্যুব (আ:)-এর প্রতি সুপ্রসন্ন হলেন। এবং তাঁকে পরিপূর্ণ সুস্থ করে দিলেন এবং সকল ধন-সম্পদ ফিরিয়ে দিলেন। সে দিনটি ছিল মহররমের দশ তারিখ, আশুরার দিন। (সূরা সোয়াদ : ক্রমিক নং ৩৮, আয়াত ৪১, ৪২, ৪৩, পারা-২৩, রুকু-৪; সূরা আম্বিয়া: ক্রমিক নং ২১, আয়াত ৮৩, পারা-১৭, রুকু-৬)
(৭) হযরত ইয়াকুব (আ:) তাঁর প্রতি আদরের সন্তান হযরত ইউসুফ (আ:) কে হারিয়ে বহু কাল ধরে যাতনা ভোগ করে ছিলেন। হযরত ইউসুফ (আ:) আশুরার দিনেই অন্ধকার কূপ হতে উদ্ধার লাভ করে ছিলেন এবং হযরত ইয়াকুব (আ:) আশুরার দিনেই দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেয়ে ছিলেন। অবশেষে আশুরার দিনেই পিতাও পুত্রের মিলন ঘটেছিল। (সূরা- ইউসুফ : ক্রমিক নং ১২, আয়াত ১৫-১০০, পারা-১২-১৩, রুকু-২-১১)
(৮) হযরত দাউদ (আ:)-এর দোয়া আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত আশুরার দিনে কবুল করেছিলেন এবং তাঁর প্রতি রহমত বর্ষণ করে ছিলেন। (সূরা সোয়াদ : ক্রমিক নং ৩৮, আয়াত ২৪,২৫, পারা ২৩ রুকু-২) (৯) হযরত মরিয়ম (আ:)-এর গর্ভহতে হযরত ঈসা রুহুল্লাহ (আ:) এই পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন আশুরার দিনেই। (সূরা আলে ইমরান : ক্রমিক নং ৩, আয়াত ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৫, ৪৬, পারা ৩, রুকু-৫)
(১০) হযরত ইউনুস (আ:) চল্লিশ দিন মাছের পেটে অবস্থান করার পর আশুরার দিনেই মুক্তিলাভ করে ছিলেন। (সূরা আম্বিয়া: ক্রমিক নং ২১, আয়াত ৮৭, ৮৮, পারা-১৭, রুকু-৬)
(১১) হযরত ইদ্রিস (আ:) কে জান্নাত হতে দুনিয়ায় পাঠানোর পর কান্নাকাটি করলে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত তাঁকে চতুর্থ আকাশে তুলে নেন আশুরার দিনেই। (সূরা মারিয়াম : ক্রমিক নং ১৯, আয়াত ৫৬, ৫৭, ৫৮; পারা ১৬, রুকু-৪)

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন