স্টাফ রিপোর্টার : সিআইডিতে কর্মরত পুলিশের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রূপগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারটি অভিযোগ করেন, ঢাকায় সিআইডিতে কর্মরত এএসপি জাকির হোসেন তাদের সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জমির মালিক জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, তার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। বাবা মারা যাবার পর তারা তিন ভাই পৈতৃক ওয়ারিশ সূত্রে তারাবো পৌরসভা এলাকায় কর্নগোপ মৌজায় সাড়ে ১২ শতাংশ জমির মালিক হন। সেখানে তাদের নিজের, ফুফু ও চাচার ৭০ শতাংশ জমি ছিল। বর্তমানে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি’র এএসপি জাকির হোসেন (তৎকালীন নারায়ণগঞ্জের কোর্ট ইন্সপেক্টর) বিভিন্ন সময়ে ফুফু ও চাচার নামে থাকা সাড়ে ৫৭ শতাংশ জমি তার (জাকিরের) বোন হাছেনা বেগম ও ভাগিনা ওমর ফারুকের নামে ক্রয় করেন। পরে সেখানে কয়েকটি কারখানা গড়ে তোলে। সেখানে তাদের তিন ভাইয়েরও সাড়ে ১২ শতাংশ জমি পড়েছে। ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ওই জমি নামমাত্র মূল্যে জাকির হোসেন তার কাছে বিক্রি করতে চাপ দেয়। রাজী না হলে পুলিশ কর্মকর্তা জাকির ও তার ভাগিনা ওই জমি দখল করে সেখানে একটি স্টিলমিল কারখানা গড়ে তোলেন। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় জাকির ও তার লোকজন তাদের মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। সিআইডি কর্মকর্তা হওয়ায় পুলিশ তার বিরুদ্ধে মামলা নিবে না এই সংশয়ে ও আতঙ্কে জাহাঙ্গীর থানায় মামলা করতে যাননি বলেও জানান। তবে দখল হওয়া জমি ফিরে পেতে জাহাঙ্গীর গত বছরের বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রী, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনে পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিআইডি’র এএসপি জাকির হোসেন বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। তিনি আবার বলেন, আমার ভাগিনা ফারুকসহ আটজন পার্টনারে ওই জমি কিনেছে। ওখানে আমার নামে কোনো জমি নেই, আর আমি কাউকে কিনেও দেইনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন