লালমোহন (ভোলা) উপজেলা সংবাদদাতা : লালমোহন উপজেলার চরভুতা ইউনিয়নের বাংলাবাজার মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার পরিবেশ বিঘিœত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা ঠিকমত ক্লাশ করতে পারছে না। এছাড়া মানসম্মত অফিস কক্ষ না থানায় মূল্যবান কাগজপত্র এবং প্রয়োজনীয় নথি ও ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে পারছেন না শিক্ষকরা। নেই পর্যাপ্ত আসবাবপত্র। ভাঙাচোরা বেড়া দিয়ে প্রায় সময়ই চোর ও পশুপ্রাণী প্রবেশ করে মাদ্রাসার ভিতরে। অপরদিকে নেই স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট। ছেলে শিক্ষার্থীরা যেখানে সেখানে প্রকৃতির কাজ সারতে পারলেও মেয়ে শিক্ষার্থীরা লজ্জায় সমস্যায় ভুগছে বহুদিন ধরে। অবশ্য এই মাদ্রাসার পাশেই একটি প্রাইমারী স্কুলের জন্য আধুনিক টয়লেট ও শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থে। সরেজমিনে দেখা যায়, মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য খালপারে নাম মাত্র একটি টিনের টয়লেট নির্মাণ করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। যেখানে ছেলেরা গেলেও মেয়েরা যেতে পারছে না। মাদ্রাসার শিক্ষক লিটন, মাওলানা এরশদুল ইসলাম ও সুপার মতিউল ইসলাম জানান, ১৯৮৭ সালে ১ একর ৩২ শতাংশ জমির উপর এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সে থেকে অদ্যাবদি সরকারি কোনো অনুদান পায়নি। উপজেলার সকল মাদ্রাসার তুলনায় এ মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থার মান অনেক ভালো। তাই বিভিন সময়ে বিভাগীয়ভাবে কয়েকবার পুরস্কার লাভ করেছে এ মাদ্রাসাটি। এ ছাড়া চলতি বছর জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষায় শতভাগ পাসসহ শিক্ষার গুণগত মান বিশ্লেষণ করে সেকায়েফ থেকে আর্থিক পুরস্কার দেয়া হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় শিক্ষার মান ও ফলাফল ভালো হলেও মাদ্রাসার অবকাঠামোর মান বৃদ্ধি না হওয়ায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে এক ধরনের ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে এ মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়ন করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় বহু স্কুল মাদ্রাসা আছে টিনশেড ঘরে। এগুলো পর্যায়ক্রমে ভবন হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ভবন নির্মানের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। বাংলাবাজার মাদ্রাসায় ভবনের জন্য বিশেষভাবে আমি নিজেও এমপি মহোদয়ের সাথে আলোচনা করেছি। আশা করি অচিরেই সেখানে ভবন নির্মাণ হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন