কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপজেলা সংবাদদাতা : ভারত-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার কমলাসাগর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তারাপুর সীমান্ত হাটে দুই দেশ এই প্রথমবারের মতো গতকাল যৌথভাবে উদযাপন করল মহান একুশে ফেব্রæয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসটি পালন কেন্দ্র করে হাটে দু’দেশের একই ভাষার মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়।
হাট পরিচালনা পর্ষদের যৌথ উদ্যোগে সীমান্ত হাটে অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা শহীদ মিনারে দুপুর ১২টায় দু’দেশের কর্মকর্তারা ভাষা শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দিবসটি নিয়ে সীমান্ত হাটে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার শাসক (ডিএম) প্রদীপ কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সরাইল রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার কমান্ডার ফজলে কাদের আহাম্মেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা হাকিম (এডিএম) লুৎফন নাহার, ভারতের ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক দিলীপ কুমার চাকমা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এ মাসুদ, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আনিছুল হক ভূইয়া, বিজিবির ১২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়নক লে. কর্নেল শেখ ফরহাদ উজ্জামান, ভারতের আগরতলার কবি ও লেখক অধ্যাপক রামেশ্বর ভট্টাচার্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক ও কবি মানবর্ধন পাল, ভারতের দূরদর্শন আগরতলার কেন্দ্র পরিচালক জে এস পাঠান, কসবা পৌরসভার মেয়র মুহাম্মদ ইলিয়াছ, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী আফরোজ, কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন আহাম্মদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো: সোলেমান খান। আলোচনাসভা শেষে দু’দেশের শিল্পীদের সমন্বয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুই দেশের শিল্পীরা একে একে গান পরিবেশন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন