শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

থেরেসাকে খুঁজতে হবে নতুন পথ বাড়তে পারে ব্রেক্সিট সময় : ইইউ

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:০২ এএম

ব্রেক্সিট ইস্যুতে পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটে বিপর্যয়ের পর আস্থা ভোটে কোনোমতে টিকে থাকলেও ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে›কে খুঁজতে হবে নতুন পথ। পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ১৯ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয় থেরেসা মে সরকার। অল্পের মধ্য দিয়ে জয় পেলেও এ্ই জয় ব্রেক্সিট ইস্যুতে যুগান্তকারী প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হারের স্বাদ নেওয়ার এক দিন পরেই প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’কে নতুন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়। ব্রেক্সিট চুক্তি বাস্তবায়নে থেরেসা মে সরকারের নতুন রূপরেখার মাধ্যমে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারে- এমন আস্থায় হয়তো প্রতিফলিত হয়েছে বুধবার অনুষ্ঠিত এই জয়ে। শুধু তাই নয়, অনিশ্চয়তা থেকে বের হয়ে নতুন আশার আলো দেখতে পাবে ব্রিটেনবাসী- এমনটি মনে করছেন কনজারভেটিভ দলীয় এই নেতা। তবে, এই জয়ের ফলে থেরেসা মে নতুন করে ব্রেক্সিট চুক্তির সময়সীমা ও দর কষাকষির নতুন সুযোগ পাবে বলে মনে করছেন অনেকে। অপর এক খবরে বলা হয়, লন্ডন যুক্তিযুক্ত কোনো কারণ দেখাতে পারলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা যুক্তরাজ্যের সম্পর্কোচ্ছেদের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। বুধবার এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের মুখপাত্র বলেন, এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যর কাছ থেকে সময় বাড়ানোর কোনো অনুরোধ আসেনি। যথাযোগ্য কারণে সময় বাড়ানোর অনুরোধ এলে সেক্ষেত্রে ইইউ সদস্যভুক্ত ২৭ দেশের নেতারা ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী, ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) শেষ সময়সীমা আগামী ২৯ মার্চ। কিন্তু কী প্রক্রিয়ায় বিচ্ছেদ হবে সে বিষয়ে যুক্তরাজ্য এখনো চূড়ান্ত কোনো চুক্তিতে উপনীত হতে পারেনি। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে হাউজ অব কমন্সে তার খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন, ভোটে যা চরমভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ৬৫০ সদস্যের নিম্মকক্ষে চুক্তিটি ৪৩২-২০২ ভোটে হেরেছে। আধুনিক যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রীর তোলা প্রস্তাব হাউজ অব কমন্সে এত বড় ব্যবধানে হারল। যার জেরে বিরোধী লেবার পার্টি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব রেখেছেন। মঙ্গলবারের ভোটের ফল যেমন আগে থেকে অনুমান করা যাচ্ছিল, তেমনি বুধবারের ভোটের ফলও অনেকটা অনুমিতই ছিল। বিচ্ছেদের আগে নানা সমীকরণের মাঝেও দ্বিতীয় গণভোটের দিকে সমর্থন জানাচ্ছে অনেক ব্রিটিশ জনগণ। একজন বলেন, আরেকটি গণভোটের দাবি নিয়ে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি। গত অক্টোবরেও সাত হাজার মানুষ এই আন্দোলনে শরীক হয়। এখনো আরও অনেকে সেই দলে যোগ দিচ্ছে। ২০১৬ সালের ২৩ জুন যুক্তরাজ্যে এক গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দেশটির চার দশকের সম্পর্ক বিচ্ছেদের রায় হয়। আগামী ২৯ মার্চ ব্রিটেন ইউরোপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে হবে। তবে, ব্রেক্সিট প্রশ্নে আরেকটি প্রস্তাব আগামী সোমবার সামনে আনার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তবে সেই প্রস্তাব কেমন হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রয়টার্স, বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন