উত্তর: রাসূল (সাঃ) স্বীয় উম্মতের প্রত্যেক ব্যক্তির ভাল মন্দ আমলের স্বাক্ষ্য প্রদান করবেন এবং এ স্বাক্ষ্য এ ভিত্তিতে হবে যে, উম্মতের যাবতীয় আমল প্রত্যেক সকাল-সন্ধ্যায়-অপর এক রেওয়ায়েতে সপ্তাহে একদিন রাসূল (সাঃ) এর খেদমতে পেশ করা হয়; আর তিনি উম্মতের প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার আমলের মাধ্যমে চিনতে পান। এজন্য কিয়ামতের দিন তাঁকে উম্মতের স্বাক্ষী স্থির করা হবে। (দ্রঃ সাঈদ বিন মুসাইয়্যেব থেকে, ইব্নুল মোবারক রেওয়ায়েত করেছেন-মায্হারী)
যেমনি ভাবে গোটা বিশ্ব সূর্য থেকে আলো সংগ্রহ করে তেমনি ভাবে সমগ্র মু’মিনদের হৃদয় তাঁর অন্তর রশ্মি দ্বারা উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে। এ জন্যই সাহাবাগণ যারা নবীজীর (সাঃ) সান্নিধ্য লাভে ধন্য হয়েছেন, তারা সব উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ বলে পরিগণিত। কেননা তাঁদের অন্তর নবীজীর অন্তর থেকে কোন মাধ্যম ব্যতীত সরাসরি নূর ও ফায়েজ লাভ করার সুযোগ পেয়েছেন। অবশিষ্ট উন্মত এ নূর সাহাবায়ে কেরামদের মাধ্যমে, পরবর্তী পর্যায়ে বিভিন্ন মাধ্যমের বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে রাসূল (সাঃ) হতে লাভ করছেন। এ ভাবে মু’মিনদের অন্তঃকরণ তাঁর পূত পবিত্র অন্তর থেকে জ্যোতি বা নূর লাভ করতে থাকবে।
আর যে ব্যক্তি তাঁর মর্যাদা ও সম্মান রক্ষার প্রতি যত বেশী খেয়াল রাখবে তাঁকে ভালবেসে যতবেশী দরুদ ও সালাম পাঠ করবে তিনি তত বেশী পরিমাণে এ নূর লাভ করবেন। রাসূল (সাঃ) এর জ্যোতিকে বাতির সাথে তুলনা করা হয়েছেÑঅথচ তাঁর আধ্যাত্মিক ও আত্মিক আলো সূর্য্যরে আলোর চাইতে ঢের বেশী। সূর্য কিরণে কেবল পৃথিবীর বাহ্যিক ও উপরিভাগ আলোকিত হয়। কিন্তু তাঁর (সাঃ) আত্মার জ্যোতিতে গোটা বিশ্বের অভ্যন্তর ভাগ এবং মু’মিনদের অন্তর লোক আলোকিত হয়। এই উপমার কারণ এজন্য মনে হয় যে, বাতির আলো থেকে নিজ ইচ্ছানুযায়ী উপকৃত হওয়া যায়। সর্বক্ষণ সে উপকার লাভ করা যায় ও বাতি পর্যন্ত পৌঁছানো সহজতর এবং তা অনায়াসেই লাভ করা যায়। পক্ষান্তরে সূর্য পর্যন্ত পৌছা একেবারে দুঃসাধ্য এবং সবসময় এর থেকে উপকার লাভ করা যায় না। (দ্রঃ তফসীরে মা-আরেফুল কোরআন)
উত্তর দিচ্ছেন: নাজীর আহ্মদ জীবন
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন