উত্তর: মতবিরোধ সাধারণত তিন প্রকার হয়ে থাকে। যথাঃ
(এক): উভয় পক্ষেরই দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি। প্রত্যেকেই মনে করছেন আমি যা বলছি, তাতে ধর্মের কল্যাণ নিহিত এবং পতিপক্ষ যা বলছেন, তাতে দীনের ক্ষতি নিহিত। এমতাবস্থায় উভয় পক্ষের জন্য মতভেদ করা ফরয হয়ে যায় এবং উভয় পক্ষ সওয়াব প্রাপ্ত হন; মতবিরোধ পরিহার করা পাপ বলে গণ্য হয়।
(দুই): এক পক্ষের উদ্দেশ্য মহান আল্লাহর সন্তোষ কামনা এবং অপর পক্ষের লক্ষ্য কেবল প্রবৃত্তির অনুসরণ। উদাহরণত একজন কাউকে সালাতের ব্যাপারে ওয়ায-উপদেশ প্রদান করছেন, অন্যায় কর্ম থেকে বাধা দিচ্ছেন এবং তা মান্য না করায় তার সঙ্গে বিরোধ করছেন। অন্যজন এর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ছেন এ বলে যে, তার সঙ্গে বিরোধ-বাধার কি প্রয়োজন? এমতাবস্থায় প্রথম ব্যক্তির পক্ষে মতবিরোধে জড়ানো ওয়াজিব এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় জনের পক্ষে বিরোধে জড়ানো হারাম।
(তিন): তৃতীয় প্রকার মতবিরোধ হচ্ছে তা, যেখানে দু’পক্ষই প্রবৃত্তি তাড়িত হয়ে মতভেদে জড়িয়ে পড়েছেন। এমন মতবিরোধ পরিহার করা উভয় পক্ষের জন্যই ওয়াজিব এবং তাতে জড়ানো হারাম। (আহসানুল-ফাতাওয়া: খ-১,পৃ-৪৭৩-৪৭৪। )
মতবিরোধ প্রশংসিত হওয়ার প্রধান শর্ত হলো, তা একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুুষ্টির নিমিত্তে হতে হবে।
উত্তর দিচ্ছেন: মুফতী মো: আবদুল্লাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন