বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী প্রশ্নোত্তর

আমরা জানি চাকরি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করা। একজন মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত কিছু কাজ ছাড়াও দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। যেখানে ১৫ মিনিট করে হলে ৭৫ মিনিট নামাজ আদায় করতে সময় ব্যয় হচ্ছে। একজন চাকরিজীবীর ক্ষেত্রে এরূপ ব্যয়িত সময়ের জন্য কোনো

মো. রফিকুল ইসলাম,

প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:২৬ এএম

উত্তর : চাকরি ক্ষেত্রে আইন কতটুকু মানা হয় সেটাও একটা প্রশ্ন। সরকারি-বেসরকারি সকল ক্ষেত্রেই কি ৮ ঘণ্টার আইন মানা হয়? কোনো ব্যক্তি ইচ্ছা করলে এর বেশি কাজও করতে বা করাতে পারে। এখানে শর্ত অনুযায়ী ফুলটাইম কাজ করা কর্মীর দায়িত্ব। এর পরিপূর্ণ বিনিময় দেয়াও মালিকের দায়িত্ব। ফাঁকি দিলে উভয় পক্ষই গোনাহগার হবে। এখন আসুন একান্ত ব্যক্তিগত কাজের জন্য সময় বের করা প্রসঙ্গে। যেমন- পেশাব-পায়খানা ইত্যাদি। প্রাকৃতিক এসব কাজে যেমন কোনো আইন বাধা হতে পারে না, মুসলমানদের ফরজ বিধানের ক্ষেত্রেও কোনো আইন বাধা হতে পারে না। ফরজ ইবাদতের গুরুত্ব বরং আরো বেশি। যে কোনো মালিকের সকল শর্ত সত্তে¡ও মুসলিম কর্মী তার ফরজ নামাজ ওয়াক্ত মতো আদায় করতে পারবেন। তবে, আগে-পরে নামাজের নামে সময় নষ্ট করা, অহেতুক দেরি করা, নফল নামাজ, জিকির-তেলাওয়াত ইত্যাদি চাকরির সময় নষ্ট করে, আদায় করা জায়েজ হবে না। এসব করে সময় নষ্ট করা মালিককে ফাঁকি দেয়ার শামিল। এসবে মালিক নারাজ থাকলে উপার্জনও হালাল হবে না। খেয়াল রাখবেন, সংক্ষিপ্ত সময়ে ওজু ও ফরজ/ওয়াজিব/সুন্নতে মুয়াক্কাদাটুকুই আদায় করা যাবে। এতেও যদি মালিক রাজি না হয়, তা হলে সুবিধামতো এ চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্য কোথাও জীবিকার সন্ধানে চলে যেতে হবে। উল্লেখ্য, আপনি বলেছেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ১৫ মিনিট করে ৭৫ মিনিট নষ্ট হয়। কোন অফিস দুনিয়াতে এমন আছে, যেখানে কর্মীরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করে। আপনার কথায়ই তো ৮ ঘণ্টা রয়েছে। এখানে তো জোহর আসর ছাড়া আর কোনো নামাজ নেই। অন্য শিফটে হলেও এক দুই ওয়াক্ত নামাজ অফিস টাইমে পড়তে হবে। তা হলে বড়জোর আধঘণ্টা নামাজের জন্য যাবে। এর বেশি নয়। টিফিনের জন্য যে বিরতি দেয়া হয় এতেই কিন্তু নামাজও পড়ে নেয়া যায়। যদি সময়ে না মিলে, তা হলে নামাজের সময় ঊর্ধ্বে ১৫ মিনিট যেতে পারে। মুসলিম দেশে এটি সমন্বয় করে নেয়া কোনো ব্যাপারই নয়। অমুসলিম দেশেও মানুষ কষ্ট করে নামাজ-রোজা পালন করেই চাকরি করছে।

উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Nannu chowhan ১৫ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:৪২ এএম says : 0
Ashole jader iman khouboi dorbol tarai eai dhoroner prosno koren.Eakjon imandar lok jodi namaje officer adha ghonta bei koren oni oai adha ghonta pushaia deoar ichsao rakhen...dhonnobad nodbi shahebke shondorvabe din islamer dikguli bujhaia deoar jonno.
Total Reply(0)
Mohammad Rashel ২ আগস্ট, ২০২২, ১০:৩৩ এএম says : 0
আসলে এসব প্রশ্ন নাস্তিকরাই করে,কোন মুসলমান এ রকম প্রশ্ন করে না।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন