ইউটিউব হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট।বর্তমানে ইউটিউব শব্দটার সাথে পরিচিত নন এমন মানুষখুঁজে পাওয়া দুষ্কর। পড়াশোনা থেকে শুরু করে দৈনন্দিনপ্রায় সকল প্রকার কাজে ইউটিউবের ব্যবহার অতুলনীয়।
ইউটিউব দেখে যেমন অনেক কিছু শিখতে পারছেন, ঠিক একইভাবে এ ইউটিউব থেকে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকামও করতে পারবেন।
গুগল ইউটিউব অ্যাডসেন্স:
অ্যাডসেন্স চালু করতে প্রথমেই তোমাকে আবেদন করতেহবে অ্যাডসেন্সের জন্য। এক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক তথ্যদিতে হবে। তবে অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্যে ২০১৮ সালেরনিয়ম অনুযায়ী চ্যানেলকে কিছু যোগ্যতা অর্জন করতেহবে। যেমন: ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ঘণ্টা ওয়াচ ভিউ এবং সেটা হতে হবে শেষ ১ বছরের ভিতরে।অথাৎ তোমার ইউটিউব চ্যানেলে ন্যূনতম ১ হাজারসাবস্ত্রাইবার থাকতে হবে এবং চ্যানেলের ওয়াচ ভিউকমপক্ষে ৪ হাজার ঘণ্টা হতে হবে। তুমি যে জি-মেইল দিয়ে অ্যাডসেন্স এ এপ্লাই করবে সেই জি-মেইলে অবশ্যইতোমার বয়স ১৮ হতে হবে এবং তোমার চ্যানেলের চ্যানেল আইকন থাকতে হবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং:
বর্তমানে অনলাইনে পণ্যসামগ্রী বিক্রয় করে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। যেমন: Daraz, Pickaboo সহ আরো এমন অনেক সাইটআছে সেখানে গিয়ে তুমি রেজিস্টেশন করতে পারো।তারপর তারা একটি লিংক পাঠাবে সেই লিংকটি তুমি তোমার ইউটিউব ভিডিও এর ডেসক্রিপশনে দিয়ে দিবে।এরপর তোমার চ্যানেলের এই লিংকে গিয়ে যারা পণ্য কিনবে সেই পণ্যের মূল্য থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ তুমিকমিশন হিসেবে পাবে।
বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ:
বর্তমানে এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা এই সুবিধাটি দিয়ে থাকে। ধরো তুমি তোমার কোনো একটি ভিডিওতে তাদের পণ্য সম্পর্কে কয়েক সেকেন্ডের একটা ব্রিফ দিলে। এক্ষেত্রে তাদের পণ্যের প্রচারণা হয়ে যাবে, আর তারা তোমাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করবে। তবে এই ধরনের অফার শুধুমাত্র মানসম্মত এবং অধিক ভিউ সম্পন্ন ভিডিও মালিকগণ পেয়ে থাকেন।
স্পন্সরড ভিডিও :
ইউটিউব অ্যাড অথবা অ্যাফিলিয়েট লিংক হতে যে পরিমাণ আয় করা সম্ভব তার থেকেও বেশি আয় করা সম্ভব শুধু স্পন্সরড ভিডিও পাবলিশ করে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট বা সেবার বিক্রয় বৃদ্ধিরজন্য তোমার চ্যানেলে প্রোডাক্ট বা সেবাটির স্পন্সরড ভিডিও করার জন্য যোগাযোগ করবে এবং তোমাকে ঐ প্রোডাক্ট বা সেবার বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা তুলে ধরে একটি ভিডিও তৈরি করে তা ইউটিউবে পাবলিশ করতে হবে। এক্ষেত্রে তোমার ফ্যান ফলোয়ার যারা আছেন তারা ওই প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হবে। এর বিনিময়ে কোম্পানি প্রতি মাসে তোমাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করবে।
তবে সাধারণত অধিক জনপ্রিয় চ্যানেলগুলোই এই ধরনের সুবিধা বেশি পায়।
আয় বৃদ্ধির কৌশল :
এতোক্ষণ আমরা ইউটিউবের মাধ্যমে আয় করার উপায়গুলো জানলাম। এবার জেনে নিই কিছু কৌশল যা ব্যবহার করে আমরা পেতে পারি অধিক আয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন