উত্তর : এটি স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার মতো বড় কোনো কারণ নয়। কেননা, আপনার মায়ের সর্বোচ্চ সেবা ও তদারক করার দায়িত্ব মূলত আপনার। স্ত্রী এক্ষেত্রে আপনার সহযোগী মাত্র। ব্যক্তির সহনশীলতা, মানবিক গুণাবলী ও মায়া মমতা এসবক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে অপরিচিত. অনাত্মীয়, দুর্বল বৃদ্ধকেও সেবা করে। অনেকে আবার নিজের আত্মীয় ও আপনকেও সেভাবে সেবা করে না। অনেকটা ব্যক্তিগত রুচি, মনোভাব, সংসারের প্রতি মায়া, পরিবারের সাথে সৌহার্দ্য, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের ধরণ, বউ শাশুড়ির ভেতরকার সমঝোতা ইত্যাদি অনেক কিছু এসব কেসে বিবেচ্য। এমন পরিস্থিতিতে যথেষ্ট নির্মোহ ও বিধিগত বিবেচনা আপনার করা উচিত। সৌজন্য ও মানবিকতা, সম্পর্ক ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে স্ত্রীর সীমাবদ্ধতা ও সক্ষমতা এবং সিনিয়র সদস্যদের প্রতি তার মানসিকতা অনুযায়ী তার থেকে দায়িত্বশীলতা আশা করতে হবে। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক অবহেলা ও উদাসীনতা একজন স্বামীর জন্য যদিও অনেক কষ্টের। তবে, এখানে পক্ষপাতহীন বিবেচনাও জরুরী। এ বিষয়টি সম্পূর্ণ সমঝোতার বিষয়। পারস্পরিক সম্পর্ক ও সৌহার্দ্যরে বিষয়। এখানে ব্যতিক্রম বা কম বেশী হলে শুধু এ কারণেই স্ত্রীকে তালাক দেওয়া যায় না। কেননা, স্ত্রীকে স্বাধীনভাবে আলাদা বাসস্থান ও যাবতীয় অধিকার দেওয়া স্বামীর অন্যতম কর্তব্য। আলাদাভাবে মাকে সর্বোচ্চ সেবা ও মায়া মমতা দেওয়া তার পুত্রের প্রধান কর্তব্য। পুত্রবধুর করণীয়টি এখানে সম্পূর্ণই মানবিক ও সৌজন্যমাত্র।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
inqilabqna@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন