উত্তর : না করাই উত্তম। কারণ, এতে কোরআন শরীফের সম্মান হানী হয়। অসাবধানতার সাথে যথাই তথাই কোরআনের ব্যবহার কোরআন শরীফের জন্য মানহানিকর। কেননা, কোরআন যখন শোনা যাবে, তখন তা ভক্তি শ্রদ্ধার সাথে নিরবে শোনা ওয়াজিব। রিংটোন এভাবে কেউ শোনেনা। অনেক সময় বিরক্ত হয়ে সুইচ চাপ দিয়ে বন্ধ করে দেয়। যে সম্মানের কারণে দিবাভাগের দুু’টি নামাজ, অর্থাৎ জোহর ও আসরে জোরে কেরাত পড়া শরীয়তে নিষেধ। সম্ভাবনা আছে যে, কর্মব্যস্ত মানুষ এ কেরাত মনোযোগ দিয়ে শুনবে না। নামাজে যদি জোরে কেরাত নিষেধ করা হয়ে থাকে, তাহলে মোবাইলের রিংটোনে তেলাওয়াত বাজানো কি কোনোভাবে সংগত হতে পারে? মোটেও না। আজান রিংটোন দেওয়ার ক্ষেত্রেও এমনই সতর্ক থাকা উচিত। এতে আজানের মর্যদাহানি হয়। গুরুত্ব কমে যায়। অসময়ে এটি শুনে নামাজী মানুষেরা কনফিউজড হন। অতএব আজান রিংটোন হিসাবে ব্যবহার করা মোটেও উচিত নয়।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
inqilabqna@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন