মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন : টি শার্ট বা হাফ হাতা শার্ট পরে নামাজ হবে কি?

শোয়েব আহমেদ
ইমেইল থেকে

প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৭:৪৮ পিএম

উত্তর : নামাজ হওয়ার জন্য পুরুষের ক্ষেত্রে নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা যথেষ্ট। এভাবে যদি কেউ বাধ্য হয়ে নামাজ পড়েন যে, তার একটি লুঙ্গি বা একটি গামছা আছে বড়, তাহলে এভাবেই তার নামাজ পরিপূর্ণ সহীহ হবে। আর যার নামাজ পড়ার সময় অন্য পোষাক পড়ার সুযোগ রয়েছে তার জন্য হুকুম হলো, আল্লাহ তায়ালা সূরা আ’রাফের ৩১ নং আয়াতে বলেন, তোমরা প্রত্যেকে সিজদার স্থলে বা মসজিদে (নামাজের সময়) সৌন্দর্য গ্রহণ কর (পোষাক ও সাজসজ্জা পরিধান করে নাও)। এখানে নামাজের সময় উত্তম পোষাক পরার কথা বলা হয়েছে। সে জন্য একটা মানুষ যখন টি শার্ট বা শার্ট পরিধান করা থাকে এটা ভিজ্যুয়াল পোষাক। উনি যখন নামাজের ইচ্ছা করে নামাজ পড়বেন তখন যেন হাতাওয়ালা একটা জামা গায়ে দেন বা বড় চাদর উপরে দেন, যেন তাকে শোভনীয় মনে হয়। যেমন কেউ যদি বিশিষ্ট কারও সামনে যায় তখন সে তার স্বাভাবিক পোষাকে যায় না, গামছা গায়ে দিয়ে বা ঘরের ভেতরের গেঞ্জি পরেই চলে যায় না। সুতরাং আল্লাহর সান্নিধ্যে আমরা যখন যাবো, মনের হালতটা এমন হওয়া উচিত যে, আমি একটু শোভনীয় ও সৌন্দর্যমন্ডিত এবং আমার ভালো পোষাকটি পরে জায়নামাজে দাঁড়াই, মসজিদে যাই। এটা হলো আদব। নামাজ জায়েজ হওয়ার জন্য ফরজ সতরটুকু (পুরুষের ক্ষেত্রে নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত) ঢাকা থাকলেই হবে। আর নামাজ সুন্দর হওয়ার জন্য কনুই পর্যন্ত ঢেকে রাখা, শরীরটাকে ভালোভাবে ঢেকে রাখা, অন্যথায় সুযোগ থাকাবস্থায় শরীর ভালোভাবে ঢেকে নামাজ পড়লে নামাজ মাকরুহ হবে। তবে কেউ যদি অপারগতায় গেঞ্জি বা হাফ হাতা শার্ট পরে নামাজ পড়ে সেটা ভিন্ন বিষয়, তার নামাজ হয়ে যাবে। এ বিষয়টা আমাদের খেয়াল রাখা উচিত।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
inqilabqna@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Sk imran ১৮ মে, ২০২২, ৫:৪১ পিএম says : 0
হাফ হাতা গেঞ্জি বা শার্ট জামা পরে নামায পড়লে নামায হবে কী?
Total Reply(0)
জিয়াউর রহমান ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ২:০৮ পিএম says : 0
দয়া করে একটু জানাবেন উপকার হবে।
Total Reply(0)
IQBAL HOSSAIN ২৬ নভেম্বর, ২০২২, ২:৪৫ পিএম says : 0
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, শুরুতেই আমার পরিচয় গোপন রাখার অনুরোধ রইলে আমি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরী করি। সমভাবাপন্ন একইরকম অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে আমার কোম্পানি স্টাফদের তুলনামূলক কম বেতন দেয়, যা নিয়ে কোম্পানির প্রতিটি কর্মচারীই অভিযযোগ। এই দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির বাজারে যা দিয়ে চলা খুবই কষ্টকর। এ নিয়ে বারবার মালিক পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তারা তা আমলে নেয় না। যাইহোক মূল প্রশ্নে আসি, কোম্পানি তাদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সুবিধার্থে কিছু সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে নানারকম ডকুমেন্টারি কাজ করে, এই কাজগুলো কোম্পানি তার পরিচিত কিছু লোক দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু অর্থ প্রদান করে করিয়ে নেয়। ধরুন নির্দিষ্ট সে ব্যক্তি কাজটি করতে আমার কোম্পানি থেকে ১০ টাকা চায় এবং কোম্পানি তা দিতেও রাজি হয়। সে কাজটি যদি আমি আমার পরিশ্রম, সময় আর মেধা দিয়ে ৮ টাকায় বিকল্প উপায়ে অন্য কোনো ব্যক্তি দ্বারা কিংবা নিজে করিয়ে নিতে পারি তাহলে বাকি ২ টাকা গ্রহন করা আমার জন্য কি হালাল হবে? কিংবা ১০ টাকার কাজ ৮ টাকায় করে কোম্পানিকে ৯ টাকার বিল করলে কোম্পানি ১ টাকা লাভবান হয় আমিও ১টাকা লাভবান হই, এই ১ টাকা কি আমার জন্য হালাল হবে?
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন