উত্তর : শখের বসে অচল অতীতের মুদ্রা সংগ্রহে রাখা যায়। কিন্তু নিজের দেশের বা অন্য দেশের বর্তমানে সচল মুদ্রা বা নোট বা অন্য কোনো আর্থিক সনদ, সেটা রেখে দেওয়া উচিত না। এটার তাকওয়ার চরম পরিপন্থি। দ্বিতীয়ত পৃথিবীর প্রায় সব দেশেরই সাধারণ আইনে এটা নিষিদ্ধ যে, কেউ টাকা বা পয়সা নিয়ে গিয়ে রেখে দিবে। বিদেশে কোথাও গেলে মুদ্রা ব্যবহার করতে করতে যদি বাড়তি থেকে যায়, সেটা তার অপারগতা। কারণ একেবারে সব টাকা খরচ করাও ঠিক না, কোন সময় কোন কাজে লাগে তা তো জানা নেই। খরচ করার পরও যদি কেউ স্মৃতিস্বরূপ এক দু’টি কয়েন বা নোট কেউ রেখে দিতে চায়, তাও শরীয়তের দৃষ্টিতে ঠিক হবে না। তবে, কোনো দেশের যদি এমন আইন থাকে যে, তাদের নোট কেউ নিয়ে গেলে সেটা আর তারা রিপ্লেস বা গণনা করে না এবং তাদের নোট অন্য দেশে নিয়ে আসা যদি অনুমোদিত থাকে (যদিও এমন কোনো আইন আছে বলে আমাদের জানা নেই), তাহলে সেটা কেউ রাখতে পারবে। কারণ ফরেণ এক্সচেঞ্জেই মুদ্রা বিক্রি করার নিয়ম আছে, সেখান থেকে টাকা বদলে নিতে হয়। সরাসরি এক দেশের মুদ্রা অন্য দেশে চলে যাক এটা কেউই চায় না। আর এটা যেহেতু একটা সম্পদ এবং আর্থিক, কেউ যদি এই নোট বা মুদ্রা সংগ্রহে রাখে, তাহলে তার যাকাতও দিতে হবে। তার যাকাতযোগ্য অন্য সম্পদ যা আছে, এর সাথে তার সংগ্রহে থাকা নোট বা মুদ্রাও (নিজের দেশে এক্সচেঞ্জ করলে যত টাকা হবে) গণনা করতে হবে। যেমন কারও যদি একলক্ষ টাকা পরিমাণ যাকাতযোগ সম্পদ থাকে এবং বিশ হাজার টাকার অন্য মুদ্রা বা নোট থাকে তাহলে তাকে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার যাকাতই দিতে হবে।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
inqilabqna@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন