শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আইসিটি এন্ড ক্যারিয়ার

ব্যাংকিং পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার বড় সুযোগ

৩১ মার্চের মধ্যে এমবিএম ভর্তির আবেদন, ভর্তি পরীক্ষা ০৯ এপ্রিল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০২১, ১:০৫ পিএম | আপডেট : ৬:২৮ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২১

আর্থিক খাত বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পরামর্শ সেবা প্রদানের একটি আদর্শ অনন্য জাতীয় প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)। পেশাদারী ব্যাংকিং বিষয়ে শিক্ষার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান এটি। বলা হয়ে থাকে, ব্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার এক অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিআইবিএম। এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালিত মাস্টার্স ইন ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (এমবিএম) বর্তমান সময়ে ব্যাংকার হওয়ার উচ্চাকাঙ্খা পোষণ করা তরুণদের কাছে একটি জনপ্রিয় বিশেষায়িত ডিগ্রী। যে কোনো ব্যাকগ্রাউন্ডের একজন গ্রাজুয়েট ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স (এমবিএম) করার মাধ্যমে ব্যাংকিং ব্যবসার যাবতীয় বিষয় গভীর শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে সহজেই ব্যাংকে চাকরি পেয়ে যাচ্ছেন। এমবিএম-এর শিক্ষা পদ্ধতি বহুলাংশে প্রায়োগিক হওয়ায় এর শিক্ষার্থীরা ব্যাংকিংয়ে দক্ষ হওয়ার সুযোগ বেশি পান। এ ছাড়া তাঁরা ব্যাংকিং খাতের দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ পান। ইতোমধ্যে ১৪’শ-এর বেশি শিক্ষার্থী এই ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন যারা বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ছাড়াও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন ।
বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, বিআইবিএম আয়োজিত দুই বছর ৪ মাস মেয়াদি এমবিএম ডিগ্রীটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে দেওয়া হয় এবং এটি যথাযথভাবে করা থাকলে ব্যাংক সেক্টরে চাকুরী পাওয়া অনেক সহজ হয়।
ঢাকা স্কুল অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (ডিএসবিএম) আওতায় পরিচালিত হয় এমবিএম কোর্স। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসবিএমের পরিচালক অধ্যাপক মোঃ নেহাল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যাংকিং খাত হচ্ছে অন্যতম বৃহৎ কর্পোরেট সেক্টর। তাই এ সেক্টরে যারা ক্যারিয়ার গড়তে চান তাঁদের জন্য ব্যাংকিং খাতের দ্বার উন্মোচন করে দেয় এমবিএম ডিগ্রী। তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক জ্ঞানের এক অপূর্ব সমন্বয় হচ্ছে এমবিএম ডিগ্রী যার মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রীরা সহজেই ব্যাংকিং খাতের সাথে খাপ খাওয়াতে পারেন।
বিআইবিএমে এমবিএমে নতুন ব্যাচ ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যেকোনো বিষয়ে স্নাতক উত্তীর্ণরা এমবিএম ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তার মোট স্কুলিং সময় হতে হবে কমপক্ষে ১৬ বছর। তবে ভর্তির আবেদনের জন্য শিক্ষাজীবনে কমপক্ষে একটি প্রথম বিভাগ থাকতে হবে এবং কোনো তৃতীয় বিভাগ থাকলে হবে না। এছাড়া একই যোগ্যতায় এমবিএম (ইভিনিং) কোর্সে প্রতিবছর একটি ব্যাচ ভর্তি করা করানো হয়। এমবিএম প্রোগ্রামের জন্য ১ জন শিক্ষার্থীকে ২০টি বিষয়ে ৬৬ ক্রেডিট সম্পন্ন করতে হয়।
শুরুতে ব্যাংকিং খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলাই ছিলো বিআইবিএমের লক্ষ্য। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই লক্ষ্যের বিস্তার হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি উঠতি নতুন ও উদ্যমী শিক্ষার্থীদেরও শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান। আর তার জন্য চালু হয়েছে এ্যাকাডেমিক প্রোগ্রাম এমবিএম। তাই যারা ব্যাংকিংকে পেশা হিসেবে নিতে চান তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে এই কোর্স। অনেক ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমেও চাকুরীর সুযোগ পাওয়া যায়। তাছাড়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ব্যাংকের পক্ষ থেকে বৃত্তি দেওয়া হয়।
সবাইকেই ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে আসতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদনকারীকে ১২০ মিনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। পরীক্ষার মধ্যে ৬০ মিনিট বরাদ্দ থাকে এমসিকিউ বা নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর করার জন্য এবং ৬০ মিনিটের মধ্যে লিখিত প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। লিখিত পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত ৫০ থেকে ৮০ জন ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন