অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার গবেষণালব্ধ করোনার টিকা তৈরি করছে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট। সেই টিকার জোগানে দেরি করছে সংস্থা। তাই পুনের এই সংস্থাকে আইনি নোটিস পাঠাল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এমনটাই দাবি করছে একটি সূত্র।
আশঙ্কা অবশ্য গত মঙ্গলবারই প্রকাশ করেছিলেন সেরাম ইনস্টিটিউট সংস্থার প্রধান আদর পুনাওয়ালা। বলেছিলেন, এত বিপুল পরিমাণে করোনার টিকা কোভিশিল্ড তৈরি ‘খুবই চাপের’। ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউট-এর কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেক-এর কোভ্যাক্সিন টিকা দেয়া হচ্ছে। এ টিকা নিয়ে সেরাম সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারতের কেন্দ্র সরকার। স¤প্রতি কোভিশিল্ড বিদেশে রপ্তানি বন্ধ করেছে। কারণ দেশে করোনা লাগামছাড়াভাবে বাড়ছে। টিকার চাহিদাও বাড়ছে।
আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, সমস্যা এখানেই। কেন কোভিশিল্ড রপ্তানি করতে পারছে না তারা, সেকথা বিদেশে বোঝানো সহজ নয়। বিদেশে এ টিকা অনেক বেশি দামে বিক্রিও হচ্ছে। এবার সেই কারণেই সম্ভবত আইনি নোটিস পেল সেরাম ইনস্টিটিউট।
আদর পুনাওয়ালা জানান, এখন মাসে তার সংস্থা টিকার ৬ থেকে সাড়ে ৬ কোটি ডোজ উৎপাদন করছে। ১০ কোটি ডোজ ইতোমধ্যে কেন্দ্র সরকারের হাতে তুলে দিয়েছে। ৬ কোটি ডোজ রপ্তানি করেছে। দেশে বর্তমান চাহিদা পূরণ করতে এ উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে। আর এ দেশ-বিদেশে টিকার চাহিদা মেটাতেই চাপে সেরাম ইনস্টিটিউট। সূত্র : আজকাল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন