বাংলাদেশে প্রথম টেলিভিশন প্যাকেজ অনুষ্ঠান নির্মাণের অন্যতম পুরধা এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রকার শহিদুল হক খান দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। অর্থাভাবে তার চিকিৎসা এখন ব্যহত হচ্ছে। চিকিৎসার খরচ জোগাতে নিজের সারাজীবনের সঞ্চয় খরচ করে ফেলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকার অনুদান পেয়েছিলেন তিনি। সেই টাকার সঙ্গে নিজের আয় করা আরও ৪০ লাখ টাকা চিকিৎসার জন্য ব্যয় করেছেন। এখন আর ব্যয় কুলাতে পারছেন না। প্রতিদিন ওষুধ বাবদ প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। একমাত্র ছেলের আয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। তার ওপর প্রতিদিনের চিকিৎসা খরচ বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুচিকিৎসার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেছেন। বাধ্য হয়েই মানুষের কাছে সাহায্যের হাত পেতেছেন। শহিদুল হক খান বলেন, সব সময় কাজের পেছনে ছুটেছি। মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। কখনো দু’পয়সার স¤পত্তি করিনি। আমার এমন অবস্থা হবে, এটা কখনো কল্পনাও করিনি। চিকিৎসা করাতে পারলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভবনা অনেক বেশি। কিন্তু চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য আমার নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আকুল আবেদন, তিনি যদি আমার চিকিৎসার জন্য আবার সাহায্য করতেন তবে আমি হয়তো বেঁচে যেতাম। এ ছাড়া আমার কাছে বা দূরের যারা আছেন, সবার কাছেই সহযোগিতা চাই। আমি বাঁচতে চাই। আমি আবারও সিনেমা বানাতে চাই। উল্লেখ্য, শহিদুল হক খান ছুটির ফাঁদে, কলমিলতা, সুখের সন্ধানে নামে দর্শক প্রশংসিত সিনেমা নির্মাণ করছেন। তিনি একজন গীতিকার। ‘সাগরের সৈকতে কে যেন দূর হতে ডেকে ডেকে যায়...’ গানের জন্য ১৯৯০ সালে সেরা গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তার লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কিংবদন্তী শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ, মান্না দেসহ অনেকেই। ‘একজন ভাষা সৈনিকের গল্প’ নামে একটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন আগে আগে। তবে তার অসুস্থতার জন্য সিনেমাটি মুক্তি দিতে পারেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন