মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী প্রশ্নোত্তর

অষুধ কোম্পানিতে চাকরি করা প্রসঙ্গে।

সাইফুল্লাহ
ইমেইল থেকে

প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০২২, ৮:২৯ পিএম

প্রশ্নের বিবরণ : আমি অষুধ কোম্পানিতে চাকরি করি। নির্দিষ্ট কিছু প্রটেনশিয়াল ডাক্তারদের কে চুক্তি ভিত্তিক আমাদের কোম্পানির নির্দিষ্ট কিছু অষুধ রোগীর প্রেসক্রিপশনে লেখে দেওয়ার জন্য মাসিক ও বার্ষিক ভিত্তিতে সম্মাননা স্বরূপ কোম্পানি আমার মাধ্যমে ব্যাংক চেক/নগদ টাকা দিয়ে থাকে। এছাড়াও সপ্তাহে ২/৩ দিন ডাক্তারের নির্দিষ্ট ভিজিটবারে কোম্পানির প্রদত্ত বিভিন্ন আকর্ষণীয় গিফট, ক্যাশ/গিফট ভাউচার, অষুধের ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ইত্যাদি দিয়ে ডাক্তারদেরকে আমার কোম্পানির মানসম্মত অষুধ রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী প্রেসক্রিপশনে লেখার জন্য অনুরোধ করে থাকি। এছাড়াও অষুধের দোকান/ফার্মেসীতে আমার কোম্পানির অষুধদের অর্ডার নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু বড় ফার্মেসীতে কোম্পানির নির্দিষ্ট ডিসকাউন্ট ছাড়াও অনেকটা বাধ্য হয়ে আমার নিজের থেকে চুক্তিভিত্তিক অর্ডারের পরিমাণের উপর নির্দিষ্ট শতকরা পারসেনটেন্স টাকা দিতে হয়। প্রশ্ন হলো আমার চাকুরির উপরোক্ত কার্যক্রমগুলো কি ঘুষের মধ্যে পড়ে বা ইসলামের বিধানে আমার ইনকাম হালাল উপার্জন হবে কি?

উত্তর : এসব সরাসরি ঘুষের অন্তর্ভূক্ত নয়। কারণ, কোনো চিকিৎসক এসব অষুধ লেখতে বাধ্য বা ওয়াদাবদ্ধ নন। তারা ইচ্ছা করলে এই অষুধ লেখতেও পারেন, নাও লেখতে পারেন। এক্ষেত্রে যদি রোগীর হক নষ্ট না হয়, তাহলে আর্থিক লাভ, উপহার বা কমিশন নামে প্রণোদনা নিয়ে অষুধ লেখা জায়েজ। আপনি নিজেও এবং আপনার কোম্পানি নিজের খুশিমতো পন্য বিক্রির স্বার্থে মূল্যছাড় বা বৈধ সুবিধা দিতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে, এসব লাভ ও আকর্ষণে রোগীর যেন অপচিকিৎসা, ঠকা কিংবা যে কোনো প্রকারের হক নষ্ট না হয়।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
inqilabqna@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Hoque ২২ জুলাই, ২০২২, ৯:৫২ পিএম says : 0
একজন ডাক্তার শুধু একটি কোম্পানি থেকে নিলে তো ভালো হইতো, মোটামুটিভাবে একজন ডাক্তার ১৫-২০ টা কোম্পানির কাছ থেকে প্রতি মাসে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে থাকে প্রেশক্রিপশনে ওষুধ লিখে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর এইটা যদি হালাল হয় তাহলে পৃথিবীর সবকিছুই সুদ ঘুষ হালাল হবে
Total Reply(0)
Shihab Mahbub Khan ২৩ জুলাই, ২০২২, ৭:১৬ পিএম says : 0
যিনি উত্তর দিয়েছেন, সম্মানের সাথে তাকে উত্তরটি পুনঃ বিবেচনা করার অনুরোধ করছি। কারন ওষুধ লিখে দেয়ার জন্য যে টাকা ডাক্তার রা নেয় সেটা স্পষ্ট ঘুষ। এই টাকা ওষুধের উৎপাদন ব্যয়ের সাথে যুক্ত হয়ে ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি করে। এবং ডাক্তার টাকা গ্রহণের দায়বদ্ধতা থেকে রোগীকে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে থাকে। ফতোয়ার বৈশ্বিক ওয়েব সাইট islamqa.info তে এ ব্যাপারে স্পষ্ট ফতোয়া আছে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন