শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঈমান হচ্ছে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা -পীর সাহেব জৈনপুরী

প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) উপজেলা সংবাদাদাতা : জৈনপুর দরবার শরীফের পীর ও তাহরিকে খতমে নবুয়্যাত বাংলাদেশ-এর আমির, আলহাজ্ব মাওলানা আল্লামা মুফতী ড. সাইয়্যেদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী বলেছেন, ঈমান হচ্ছে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা। আল্লাহ তার রাসূলকে বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করতে হবে। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল। তিনি হচ্ছেন খাতামান নাবিয়িন। তিনি হায়াতুন্নবী। কেয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নবী-রাসূলের আগমন পৃথিবীতে ঘটবে না। ভÐ পীরের ভÐামি ও তাদের কর্মকাÐের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে। শুধু ঈমান আনলেই চলবে না। জুলুম ও শিরিক থেকে বাঁচতে হবে। শিরিক হচ্ছে সবচেয়ে বড় জুলুম ও জঘন্য অপরাধ, তাই সকলকে শিরিক ও কুফর থেকে বাঁচতে হবে। কুফরের মাধ্যমে খতমে নবুয়ত অস্বীকার করা হয়। যে যে দলেরেই বিশ্বাসী হন না কেন, সকলের ঈমানি দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো সঠিক আকিদা ও ঈমান ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবন গড়তে পারলে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। সুদ খাবেন না, সুদ ঘৃণা করতে হবে। সুদ খাওয়া হারাম ও জঘন্য অপরাধ। সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কাদিয়ানীরা অমুসলিম। কাদিয়ানী সম্প্রদায় সারা বিশ্বে মুসলমানদের ঈমান-আকিদার ওপর আঘাত করে যাচ্ছে। তাদের যড়যন্ত্র থেকে আমাদের ঈমান-আকিদা রক্ষা করতে হবে।
তিনি গতকাল রোববার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলাধীন ইটাখোলা গ্রামবাসীর উদ্যোগে ও তাহরিকে খতমে নব্যুয়াত মাধবপুর থানা শাখা কর্তৃক আয়োজিত সুন্নী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল কুদ্দুস মেম্বারের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা মোজাম্মিল হক মাসুমী ও আক্কাছ মিয়ার পরিচালনায় ওয়াজ করেন অধ্যক্ষ মাওলানা আমীর হোসেন ও মাওলানা ফারুক আহমেদ। ওই মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ মোজাদ্দেদ উদ্দিন দুলাল, হাজী মোঃ আলমশাহ, জৈনপুর দরবার শরীফের পীরজাদা মুফতি সৈয়দ এহসান উল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী, সৈয়দ নিয়ামত উল্লাহ আব্বাসী জৈনপুরী, মাধবপুর প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি কে এম শামছুল হকসহ হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিয়ানে কেরাম অংশগ্রহণ করেন। পরে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের শান্তি, ঐক্য ও মঙ্গল কামনা করে সর্বশক্তিমান আল্লাহর নিকট মোনাজাত করা হয়।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মিজানুর ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ১১:০৫ এএম says : 0
আমি আপনাদের প্রত্রিকাতে কাজ করতে চাই। উপজেলাঃ-কাজিপুর,জেলা সিরাজগঞ্জ। আশা করি এটা এটা বিবেচনা করবেন।আমি কাজিপুর উপজেলার প্রতিনিধি হতে চাই।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন