রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অর্ধ শতাব্দী পর ফ্রান্সকে হটিয়ে জার্মানির বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : প্রায় অর্ধ শতকের বেশি সময় পর জার্মান রফতানির গন্তব্য হিসেবে এই প্রথম ফ্রান্সকে হটিয়ে শীর্ষে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশীয় অর্থনীতির উর্ধ্বগতি ও ইউরোর দুর্বলতার সুবাদে ১৯৬১ সালের পর গত বছর প্রথমবার এ জায়গায় উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্র। স¤প্রতি জার্মানির পরিসংখ্যান দফতর থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৫ সালে জার্মানি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির পরিমাণ ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১১৪ বিলিয়ন ইউরো (১২৭ বিলিয়ন ডলার) হয়েছে। সে তুলনায় গত বছর জার্মানি থেকে ফ্রান্সে রফতানির পরিমাণ ২ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১০৩ বিলিয়ন ইউরো হয়েছে। এর ফলে বিগত ৫০ বছরের বেশি সময় পর প্রথমবার জার্মানির সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে নিজের জায়গা হারিয়েছে ফ্রান্স।
এদিকে এ চিত্র দ্রæত বদলানোর সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এটিকে একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতা বলে উল্লেখ করেছেন জার্মানির ডিআইডবিøউ ইকোনমিক ইন্সটিটিউটের বিশেষজ্ঞ সিমন জাঙ্কার। তিনি বলেন, জার্মান পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অংশত দায়ী। এক হিসাবে দেখা গেছে, গত বছর বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি বছর দেশটির জিডিপি ২ শতাংশ বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)। অন্যদিকে গত বছর ফ্রান্সের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ১ দশমিক ১ শতাংশ। এ বছর দেশটির ১ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস করেছে ওইসিডি।
জার্মানিতে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের প্রধান বার্নহার্ড ম্যাটস বলেন, এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি একটি স্থিতিশীল উর্ধ্বগতির মধ্যে রয়েছে। আর এর সুফল ভোগ করছে জার্মান কোম্পানিগুলো। এছাড়া জ্বালানির নিম্ন মূল্য, তুলনামূলক কম মার্কিন মজুরি স্তর ও ইউরোর দুর্বল বহির্মানেরও প্রভাব রয়েছে দেশটিতে জার্মান পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির পেছনে।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স¤প্রসারণমূলক মুদ্রানীতির কারণে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি থেকে ডলারের বিপরীতে ইউরো এক-পঞ্চমাংশ অবমূল্যায়িত হয়েছে। এই বিনিময় হারের প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রে লক্ষণীয়ভাবে বৈদেশিক চাহিদা বৃদ্ধি করেছে বলে মনে করছেন সিমন জাঙ্কার। কিন্তু ইউরো অঞ্চলের সদস্য হওয়া সত্তে¡ও জার্মানির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইউরোর অবমূল্যায়ন কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারেনি ফ্রান্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন