যশোর ব্যুরো : যশোরে মহান শহীদ দিবসে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। যশোর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা জানানোর একপর্যায়ে বোমাবাজি ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তে আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন শহীদ মিনারে উপস্থিত লোকজন। হুড়োহুড়ি ও ছোটাছুটি লেগে যায়। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণীপেশার মানুষ ফুল না দিয়েই বাড়ি ফিরে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ূন কবীর ও পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে নেমে যাওয়ার পরপরই ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়। পুলিশ বলেছে, দুর্বৃত্তরা বোমাবাজি ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্ত করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্র বলছে, ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অন্তত ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।
পুলিশ রোববার এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছে। বোমাবাজির ঘটনায় ১০ জনকে বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর রাতেই সরকারি এমএম কলেজের আসাদ হলে অভিযান শুরু করে পুলিশ। রোববার দুপুর পর্যন্ত সেখান থেকে ১০টি হাতবোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ইয়াবাসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন