শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে গির্জায় গুলিতে ২৬ জন নিহত

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৭, ৭:৫৫ এএম | আপডেট : ২:১৪ পিএম, ৬ নভেম্বর, ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের একটি গির্জায় রোববারের প্রার্থনার সময় বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে দুজন শিশু।

টেক্সাসের উইলসন কাউন্টির সাদারল্যান্ড স্প্রিংস ব্যাপটিস্ট চার্চে স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় এ হামলা হয় বলে স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে একজন পুলিশ কমিশনার অন্তত ২৬ জন নিহতের কথা নিশ্চিত করেছেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এই সময় গির্জায় ৫০ জন উপস্থিত ছিল।

এ ঘটনায় আরও ২৪ জন আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বন্দুকধারীও নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

এফবিআইয়ের সান আন্টোনিও শাখা এ ঘটনায় তাদের কর্মীদের মোতায়েন করার কথা জানিয়েছে । তারা বলেছে, বন্দুকধারীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

এফবিআই বলেছে, একজন গুলিবর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে। আর কেউ হামলায় সম্পৃক্ত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে ঘটনার পর জাপান সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় হতাহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন এবং জাপান থেকে তিনি পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন বলে জানিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মোঃ আব্দুল গাফফার ৬ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:৩৮ পিএম says : 0
যুক্তরাস্ট্র উন্নত একটা দেশ তাতে সন্দেহ নেই। এখনে হর-হামেশাই বন্দুকধারীর গুলিতে মানুষজন (শিশু যুবক, বৃদ্ধ) মারা যায়। তদন্ত হয়, বিচার হয়, শাস্তিও হয়। কিন্তু এই বন্দুকধারীর গুলি বন্ধ হয় না। কেন বন্ধ হয় না? এর কারণ কি তারা অনুসন্ধান করেন? আমার মনে হয় না। কেননা, বন্দুক তো আর ছোট জিনিস না, গীর্জার মত একটা জায়গায় কোন দুঃখে একটা মানুষ বন্দুক নিয়ে প্রবেশ করে? আর গীর্জা কি তাদের লা-ওয়াারিশ, গীর্জার পাহারাদার কেন বন্দুকধারীকে প্রবেশ করতে দেয়? আর সাধারণ মানুষ কোন দুঃখে বন্দুক নিয়ে ঘোরা ফেরা করে? সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি নেই? যদি থাকেই তাহলে মানুষের নিরাপত্তা দিতে মনে হয় তারা ব্যর্থ, তাই নিজেরা বন্দুক নিয়ে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। আর এই ফাঁকে এক সময়ের সুস্থ্য মানুষ কোন সময়ে হয়তো মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলতেই পারে না, সে ঐ সুস্থ্য কালে প্রাপ্ত বন্দুক দিয়ে অসুস্থ হয়ে পাখি মারার মতে মানুষ মারে। এটা কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে না। আর এই সুযোগটা তারা বন্ধও করতে পারছে না? নাকি বন্ধ করছে না, সেটাই হল বিষয়। আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্রের এই বন্দুকধারী ব্যাপারটি তুলে ফেলা দরকার অর্থাৎ যত্র-তত্র (সাধারণ পাবলিককে) যার ইচ্ছা তাকেই আগ্নেয়াস্ত্র না দেওয়াই ভাল। সাধারণকে আগ্নেয়াস্ত্র না দিলেই ওদের এ ধরণের ঝামেলা পোহাতে হবে না।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন