নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ১১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক মাহমুদুল কবীরের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া খালেদা জিয়া, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও এ কে এম মোশাররফ হোসেনের পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে তাদের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে জামিন বাতিল ও অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ২০ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
কিন্তু খালেদা জিয়ার আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার আদালত পুনরায় অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য করেন ১১ ডিসেম্বর।
এর আগে খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ নাইকো মামলার ওপর রুল জারিসহ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দেন। এরপর হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন।
২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।
অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। এ মামলার আরো আসামি রয়েছেন তারা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন