প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ব্যবহার করে এতিমখানার টাকা আত্মসাৎ করিনি বলে জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
আজ বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।
আজ এ মামলায় ষষ্ঠ দিনের মতো বক্তব্য উপস্থাপন করছেন বিএনপি নেত্রী। এদিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায়ও আদালতে হাজিরা দেবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে আদালতে পৌঁছান খালেদা জিয়া। এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার গুলশানের বাসা থেকে আদালতের পথে বের হন বলে জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।
আদালত সূত্র জানায়, দুর্নীতির এ দুই মামলায় চলতি বছরের ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত।
১৯ অক্টোবর এ দুই মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। ওই দিন তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন। এ পর্যন্ত পাঁচ দফা বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।
এদিকে বিএনিপ নেত্রী জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত বছরের ১ ডিসেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি নিজের বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন। আজ এ মামলায় তিনি দ্বিতীয় দিনের মতো বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অপর একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন