শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

শান্তি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মস্কো

প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি ভঙ্গকারী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজন হলে শক্তি প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়ে মস্কো বলেছে, সমঝোতা চুক্তির ফলে সিরিয়ায় কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে যৌথভাবে কাজ করতে ওয়াশিংটন বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। রুশ সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জেনারেল সের্গেই রুদস্কই এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। গত সোমবার তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র যদি সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে যৌথ নজরদারির আওতায় ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে রাশিয়া শক্তি প্রয়োগের পথেই এগোবে। গত সোমবার রাশিয়ার শীর্ষ সারির এ সেনা কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত ছিল না। তারা এই চুক্তিটি অনুমোদন করার ব্যাপারেও প্রস্তুত ছিল না। এই সেনা কর্মকর্তা উদ্বেগ প্রকাশ করে আরো বলেন, সিরিয়ায় যেসব স্থানে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের ঘটনা ঘটছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া গেলে আরো অনেক নিরীহ মানুষের প্রাণ যাবে। তিনি চলতি সপ্তাহে আলেপ্পোতে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের গুলি ও মর্টার হামলায় কমপক্ষে ৬৭ জন বেসামরিক লোক মারা গেছে বলে জানিয়েছেন। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র যদি যৌথভাবে পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নিতে রাজি না হয়, তাহলে রাশিয়া একাই এসব গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন জেনারেল রুদস্কই।
অপর এক খবরে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির ওপর ভিত্তি করে চলমান শান্তির প্রচেষ্টায় এখনো তেমন কোনো অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। এরই মধ্যে গত রোববার রাতে জেনেভায় সিরীয় বিদ্রোহীদের জোট জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচনের অজুহাতে শান্তি আলোচনা পিছিয়ে দেয়ার কোনো ধরনের উদ্যোগ মেনে নেবে না তারা। তাদের দাবি, আগামী ৪ এপ্রিল নির্ধারিত তারিখেই শান্তি আলোচনার পরবর্তী ধাপ শুরু করতে হবে। এদিকে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর বেশ কিছুদিন পেরিয়ে গেলেও সিরীয় শান্তি আলোচনায় তেমন অগ্রগতি নেই। দেশটিতে আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে এই আলোচনা পিছিয়ে দেয়ার প্রস্তাব করেছে আসাদ সরকার। তবে বিরোধী জোট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচনের অজুহাতে শান্তি আলোচনা পিছিয়ে দিতে সরকারি যে কোনো প্রচেষ্টার বিরোধিতা করবে তারা। গত রোববার রাতে জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সিরিয়ার সরকারবিরোধী হাই নেগোসিয়েশন কমিটির সহকারী সমন্বয়ক ইয়াহিয়া কাদামানি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, পরবর্তী শান্তি আলোচনা দুই সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেয়ার আয়োজন করছে সরকারপক্ষ। এর মধ্য দিয়ে সরকারপক্ষ তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ গত মাসে চার বছর পর নতুন করে দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেন। আগামী ১৩ এপ্রিল নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। আর সেজন্যই গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সিরিয়া বিষয়ক দূত স্তেফান দা মিস্তুরা নির্বাচন উপলক্ষে শান্তি আলোচনা পিছিয়ে দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধীরা ওই দাবি না মেনে নির্ধারিত সময় ৪ এপ্রিলই পরবর্তী দফা আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছে। বিরোধী নেতা কাদামানি রুশ সরকারকে তার মিত্র আসাদের ওপর প্রভাব খাটানোরও আহ্বান জানিয়েছেন। বাশার আল-আসাদ সরে না গেলে সিরিয়ার এই শান্তি আলোচনা সাফল্যের মুখ দেখবে না বলেও মন্তব্য করেন এই বিরোধী নেতা। এপি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন