স্টাফ রিপোর্টার : ‘প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বক্তব্যে প্রমাণ হয়েছে এ সরকার অবৈধ। তাই তার (শেখ হাসিনার) আর ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন ২০ দলীয় জোটের শরিক ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান।
তিনি আরও বলেন, বহুদিন পরে একজন প্রধান বিচারপতি আইনের ভাষায় কথা বলেছেন। তার এ কথায় প্রমাণ হয়েছে তিনি একজন দেশপ্রেমিক। তার সত্যবাদিতা আমাদের নতুন করে আন্দোলনের পথ দেখিয়েছে। তার বক্তব্যের পথ ধরেই আমরা আন্দোলন করতে পারি। গতকাল (শুক্রবার) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এবং বিএনপি নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ’র আশু রোগমুক্তি কামনা করে দোয়ার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মূলত জিয়া হত্যার ষড়যন্তকারীদের বিচার না হওয়াতেই আজ নতুন করে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এদের বিচার না হলে জিয়ার আত্মা শান্তি পাবে না।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন, যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির গণ-শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ছানাউল্লাহ মিয়া, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, রফিক শিকদার প্রমুখ।
শফিউল আলম প্রধান বলেন,
বহুদিন পরে একজন প্রধান বিচারপতি আইনের ভাষায় কথা বলেছেন। তার এ কথায় প্রমাণ হয়েছে তিনি একজন দেশপ্রেমিক। তার বক্তব্যে প্রমাণ হয়েছে এ সরকার অবৈধ। এ অবৈধ সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমরা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়নি। তবে আন্দোলনের ধরন ভুল ছিল। আর এখন এই আন্দোলনের মূল্যায়ন করার সুযোগ এসেছে। আমরা যদি সঠিক দিক-নির্দেশনা পাই তাহলে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দলে চাটুকারের সংখ্যা বেশি। সঠিক কথা বললেই বলা হয় বেয়াদব। এ ধরনের নীতি থেকে দলকে বেরিয়ে আসতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তৃনমূলের কথা শুনতেন এবং তাদের কথামতো দল পুনর্গঠন করতেন। কিন্তু আজ দলের তৃনমূলের মূল্যায়ন খুবই কম।
অ্যাডভোকেট ছানাউল্লাহ মিয়া বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু আজ সেই গণতন্ত্র আর নেই। প্রধান বিচারপতি বলেছেন আইনের শাসন নেই। আর এ কারণেই বিচারপতি অবসরে যাওয়ার ১৬ মাস পরে রায় লেখা হচ্ছে। আর সেই অবৈধ রায়ের ক্ষমতা বলে এই সরকার ক্ষমতা দখল করে আছে। এই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন