শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজনীতি

২০৩০ সালের মধ্যে দেশ ক্ষুধামুক্ত হবে : পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেছেন, স্বাধীনতা পর খাদ্যের উৎপাদন বেড়েছে তিনগুণ। জনসংখ্যা বেড়েছে দুইগুণ। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত করা হবে।
শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির ১৫তম জাতীয় সম্মেলন ও সেমিনার উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশ এখনো পুরোপুরি ক্ষুধামুক্ত হয়নি। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছে বর্তমান সরকার। এ সময়ের মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য তার পরিপূর্ণ খাদ্যচাহিদা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, বিশ্বে প্রতি ৯ জনের একজন অভুক্ত অবস্থায় ঘুমাতে যায়। বাংলাদেশে প্রতিদিন ৫ হাজার ২৪৭ জন শিশু জন্ম নিচ্ছে। সেই হিসাবে প্রতি বছর ১৯ লাখ ২৫ হাজার লোক যুক্ত হচ্ছে। তাদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হয়। তিনি বলেন, আমরাও তাদেরকে পুষ্টি ও মানসম্মত খাবার দিতে পারি না।
কৃষিকে অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তার কারণে নানামুখি খাবার সরবরাহ করার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তাই জনগণকে কৃষি সম্পৃক্ত প্রকল্প গড়ে তুলতে হবে। ৪০ বছর আগে এদেশে কৃষি উৎপাদন ছিল ১১ মিলিয়ন মেট্রিক টন। এখন মোট কৃষিজ উৎপাদন ৩৮ মিলিয়ন মেট্রিকটন।
মুস্তফা কামাল বলেন, স্বাধীনতা পর খাদ্যের উৎপাদন বেড়েছে তিনগুণ। জনসংখ্যা বেড়েছে দুইগুণ। ক্রম হ্রাসমান প্রান্তিক প্রতি আয়ের কার্যকারিতার কারণে ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় যে প্রবৃদ্ধি ছিল, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় প্রবৃদ্ধি অপেক্ষাকৃত কম হারে হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও কৃষিকে অটোমেশন করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি ও পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য প্রফেসর ড. শামসুল আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ড. উত্তম দেব। বক্তব্য রাখেন সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক এএইচএম কায় খসরুল, মহাসচিব আহছানুজ্জামান লিন্টু, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এ এম সাত্তার মন্ডল প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন