ইনকিলাব ডেস্ক : সারাবিশ্বে ৮৭ মিলিয়ন শিশু সংঘাতময় পরিবেশে বেড়ে ওঠে। আর তাদের বয়স ৭ বছরেরও নিচে। কোমলমতি এই শিশুদের বেড়ে ওঠার সময় এই প্রতিকূল পরিবেশ তাদের মস্তিষ্কের বৃদ্ধিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। সম্প্রতি জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইউনিসেফের এই প্রতিবেদনে বলা হয়, এই শিশুদের আচরণে চরম মানসিক বিপর্যস্ততা প্রকাশ পায়, যা তাদের মস্তিষ্কের সেল বৃদ্ধিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে এবং তাদের স্বাস্থ্যহানি ঘটে। তাদের মানসিক দক্ষতা এবং শেখার ক্ষমতা কমে যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, যে সব শিশুরা সংঘাতময় পরিবেশে বেড়ে ওঠে এই ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ তাদের জীবনব্যাপী মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তার জ্ঞানের বিকাশ, সামাজিক অবস্থা এবং শারীরিক বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সংস্থাটি আরো বলে, ৭ বছর বয়স পর্যন্ত মানুষের মস্তিস্কের বৃদ্ধি হয়ে থাকে যার বেশিরভাগ মায়ের দুধ, শেখার ক্ষমতা এবং উপযুক্ত পরিবেশে বেড়ে ওঠার ওপর নির্ভর করে। ইউনিসেফের প্রারম্ভিক শিশু উন্নয়ন কমিটির সভাপতি পিয়া রিভেলো বৃত্ত বলেন, যে সব শিশুরা শারীরিকভাবে হুমকির সম্মুখীন হয়েছে তারা গভীর মানসিক চাপ এবং ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। সংঘাতময় পরিবেশ শিশুদের নিরাপত্তা ধ্বংস করে। আর এজন্য শিশুদের পরিবারের ভালবাসা, বন্ধু-বান্ধব, খেলাধুলা এবং নিয়মানুবর্তিতা নিশ্চিত করতে হবে। শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো নিশ্চিত করলে শিশুর সঠিকভাবে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত হবে এবং তাদের শেখার ক্ষমতা বাড়বে। তারা দেশের অর্থনীতি এবং সমাজের উন্নয়নে কাজে লাগবে। যখন তারা বড় হবে তারা একটি নিরাপদ সমাজ গড়ে তুলবে।
ইউরোপে আশ্রয় খোঁজা তৃতীয়াংশেরও বেশি শরণার্থী তাদের সন্তানসহ দুর্গম সাগর পাড়ি দিয়ে তুরস্ক হয়ে গ্রীসে পৌছায়। তাদের মধ্যে তিন জন সিরিয়ান শিশু জন্মের সময় যুদ্ধের পরিবেশ দেখে বড় হয়। এবং তারা ৬ বছরের মধ্যেই বিদেশের মদদে বড় হওয়া আরবের জঙ্গী হিসেবে পরিচিত হয়। সূত্র: প্রেস টিভি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন