৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে সারাদেশেই। সবার চোখ এখন রায়ের দিকেই। রায়ের উপরই নির্ভর করছে আগামী দিনের রাজনীতির গতি প্রকৃতি। খালেদা জিয়াকে আগামী জাতীয় নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। এজন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। রায়ের বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের সাথে গতকাল রাতে বৈঠক করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। একইভাবে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সাথেও বৈঠক করবেন তিনি। রায়কে সামনে রেখে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে বিএনপি। ঢাকায় নিযুক্ত ১০০টি দেশের কূটনীতিক এবং ২০টি বিদেশি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে আগামী মঙ্গলবার বৈঠক করবে দলটি। ওই দিন বিকাল ৪টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ১০০টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং ২০টি বিদেশি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ইতোমধ্যে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, তুরস্ক, ইরান, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেদারল্যান্ডস। এছাড়া ইউএনডিপি, জাইকা, ইউএসএইড, এডিপি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ ২০টি বিদেশি সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানের প্রধানদেরও বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মামলার ভিত্তি সম্পর্কে ব্রিফ করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মামলায় খালেদা জিয়ার জড়িত না থাকা, অর্থ আত্মসাতের কোনো প্রমাণ না পাওয়া, তার বিরুদ্ধে আদালতে উপস্থাপিত ফাইল ঘষামাজা ও স্বাক্ষর না থাকা বিষয়ে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করবেন বিএনপি মহাসচিব। একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির অবস্থানও পরিষ্কার করা হতে পারে। দলের পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের অবহিত করা হবে- নির্বাচনের জন্য বিএনপির প্রস্তুতি বাধাগ্রস্ত করতেই খালেদা জিয়াকে সরকার মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এটি করা হলে নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানানো হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন