ইনকিলাব ডেস্ক : ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়াকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসী’ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্তিতে উদ্বেগ জানিয়েছে তুরস্ক। গত শুক্রবার তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামি আকসয় বলেন, মার্কিন প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তে তুরস্ক উদ্বিগ্ন। আঙ্কারা বলছে, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তে আমরা উদ্বিগ্ন যা সরেজমিন বাস্তবতাকে উপেক্ষা করেছে। এ সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও সংহতি প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের কারণে হামাসকে মানবিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করবে না তুরস্ক। এছাড়া গাজা উপত্যকায় উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামি আকসয় বলেন, স্পষ্টতই এটি একটি বাস্তবতা বিবর্জিত সিদ্ধান্ত। কেননা, ফিলিস্তিনের রাজনীতিতে হামাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা। এখানে সে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার দ্ব›েদ্বর ন্যায়সঙ্গত ও দীর্ঘস্থায়ী নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত কোনও অবদান রাখবে না। ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন ফিলিস্তিনিরা। ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইন্তিফাদা বা সর্বাত্মক প্রতিরোধের ডাক দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ট্রাম্প আর নেতানিয়াহু’র ছবি পুড়িয়ে, আমেরিকা-ইসরায়েলের পতাকা জ্বালিয়ে প্রতিরোধের দেয়াল তৈরি করেন হামাস সমর্থকরা। এর মধ্যেই সংগঠনটির রাজনৈতিক শাখার প্রধানকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন