বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায়কে কেন্দ্র করে মাঠ দখলে রাখতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সুমন (৩০) নামের একজন নিহত ও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী। অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন কায়েতপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক। দীর্ঘ দিন যাবত তাদের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আজ বেলা ১১টার দিকে খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র কাঞ্চনে সেতুর পশ্চিম পাড়ে দুই পক্ষের হাজারো সমর্থক লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটা ও শটগান থেকে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন জানান, দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ববিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অনেকে আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানের কয়েক শতাধিক গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে। আটক করা হয়েছে ২০ জনকে।
বেলা দেড়টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনজনকে ও আরেকজন আলাদা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বাবার নাম মনু মিয়া। তার বাড়ি উপজেলার রুপসীর গোবিন্দপুর এলাকায়। আর কালাম (২৩), জয়নাল (৩২) ও শাকিলকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আহত জয়নাল বলেন, তারা সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর পক্ষের লোকজন। তারা যুবলীগ করেন। এ সময় কায়েতপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের লোকজন পুলিশ নিয়ে এসে গুলি করে।
ঢাকা মেডিকেলের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বলেন, পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন