কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ভারত সফরের শুরু থেকেই শিখ স¤প্রদায়ের খালিস্তান আন্দোলন নিয়ে বিতর্কের শুরু। ভারতে নামার পর যথাযথ রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা পাননি ট্রুডো- এ নিয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর। অবশেষে ট্রুডোর ভারত সফরে উভয় দেশের মধ্যকার বরফ গলার আভাস পাওয়া গেলো। সফরের সপ্তম দিনে গতকাল শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’র দেখা পেলেন জাস্টিন ট্রুডো।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছিলেন কৃষিমন্ত্রী। অন্য দেশের সরকার প্রধানরা এলে মোদি নিজেই তাদেরকে অভ্যর্থনা জানতে যান। কিন্তু ট্রুডোকে তিনি টুইটারে অভ্যর্থনা জানান বৈঠকের আগের দিন।
‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ খালিস্তান বিদ্রোহীদের প্রতি ‘সহানুভূতি’ দেখানোর অভিযোগে ট্রুডো ভারতে অসন্তোষের মুখে পড়েছিলেন। ভারত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তাকে উপেক্ষা করছিলেন। যদিও ভারত সফরে এসে ট্রুডো শীতল অভ্যর্থনা পেয়েছেন, এমন অভিযোগ দুই পক্ষই অস্বীকার করেছে।
শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের শীতল সম্পর্ক আবার উষ্ণ হয়ে উঠেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেখা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তবে মোদির এই সৌজন্য শর্তহীন ছিল না। খালিস্তান আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল একজন ভারতীয় নেতার সঙ্গে ট্রুডোর পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করার পরই ট্রুডোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মোদি।
এই দুই নেতার সাক্ষাৎ হয় দিল্লির প্রেসিডেন্ট ভবনে। সেখানে তারা বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পারমাণবিক শক্তির কল্যাণকর ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, জাস্টিন ট্রুডোর মন্ত্রিসভায় বেশ কয়েক জন শিখ আছেন। তাদের মধ্যে একজন হারজিৎ সাজ্জান। তিনি কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ভারতের অভিযোগ, কানাডার রাজনীতিতে জড়িত অনেকে ভারতের খালিস্তান ‘সন্ত্রাসীদের’ প্রতি সহানুভূতিশীল। জাস্টিন ট্রুডো অখÐ ভারতের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। কানাডা ছাড়াও যুক্তরাজ্যে ভারতের শিখরা বেশ প্রভাবশালী। সূত্র : ওয়েবসাইট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন