ত্রিপুরায় বামদুর্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) গেরুয়া ঝড়ে বিধ্বস্ত রাজ্যের রাজনীতি। শনিবার (০৩ মার্চ) রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে বিজেপির মাথায় উঠছে রাজ্যের মুকুট। খবর এনডিটিভি।
প্রাথমিক ফল ঘোষণার পর ত্রিপুরার সাবেক কংগ্রেস দলীয় সংসদ সদস্য ও বর্তমান বিজেপির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নীতি-নির্ধারক হীমান্ত বিশ্ব শর্মা সদ্যবিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক লাল সরকারকে রাজ্য ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। হীমান্ত বলেছেন, শিগগিরই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন মানিক লাল সরকার। তিনি (মানিক লাল) পশ্চিমবঙ্গ, প্রতিবেশী বাংলাদেশ অথবা দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালায় আশ্রয় চাইতে পারেন। ত্রিপুরায় আজ বিজেপি ঝড়ে মানিক লাল নেতৃত্বাধীন বাম সরকার উড়ে গেছে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে রাজ্যের ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট। ১৯৯৮ সাল থেকে ত্রিপুরা শাসন করছেন ৬৯ বছর বয়সী এই মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সিপিআই-এমের পলিটব্যুরোর সদস্য এবং রাজ্যের ক্ষমতায় ছিলেন টানা চার বার।
বিজেপি নেতা হীমান্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, ‘মানিক সরকারের সামনে তিনটি পথ খোলা আছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গ যেতে পারেন, যেখানে সিপিআই-এমের একটু উপস্থিতি আছে। তিনি কেরালায় যেতে পারেন, যেখানে দলটি এখনো ক্ষমতায় আছে। এই রাজ্য আরো তিন বছর শাসন করবে তারা। অথবা তিনি প্রতিবেশী বাংলাদেশে যেতে পারেন।’
বিধানসভার নির্বাচনের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক লাল সরকারকে বাংলাদেশে পাঠানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন বিজেপির এই নেতা। মানিক সরকারের আসন ধনপুরে এক নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নিয়ে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি, সীমান্ত অপরাধ বৃদ্ধির অভিযোগ এনে বাম সরকারের সমালোচনা করে ওই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এ নিয়ে রাজ্যে তুমুল বিতর্কও শুরু হয়েছিল।
৬০ আসনের ত্রিপুরার বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য ৩১ আসন প্রয়োজন। শনিবারের ফলাফলে রাজ্যের আদিবাসীদের রাজনৈতিক দল ‘ইন্ডিজিনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা’র (আইপিএফটি) সঙ্গে জোট বেঁধে গেরুয়া ঝড় তুলেছে বিজেপি। বিজেপি-আইপিএফটি জোট জয় পেয়েছে ৪১ আসন। ৩৪ আসনেই জয়ী হয়েছে বিজেপির প্রার্থীরা। অন্যদিকে বামফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র ১৮ আসন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন