নেপালে প্লেন দুর্ঘটনায় নিহতদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী রোববার (১৮ মার্চ) থেকে। এজন্য বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিস থেকে ইতোমধ্যে নেপালে নিহতদের আঙ্গুলের ছাপ পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে নিহতদের, তারপর ঘড়ি-গহনা ইত্যাদি দিয়ে চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপরও চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হলে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে।
শনিবার (১৭ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, আজকে মধ্যে সর্বমোট ৪৯ জনের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তের কাজ শুরু হবে রোববার থেকে। শনাক্তকরণের কাজ শেষ হলেই নিহত বাংলাদেশিদের মরদেহ দেশে ফেরত দেওয়া হবে।
আহত বাকি পাঁচজন বাংলাদেশিদের ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, আজকে রুবাইয়াত রশিদ নামে একজন বাংলাদেশে আসবেন এবং ঢামেকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হবেন। আরো বাকি দু’জন কবির হোসেন ও শাহিন বেপারী আসবেন রোববার। তাদের সঙ্গে আমাদের পাঠানো মেডিকেল টিমের একজন চিকিৎসক আসবেন কেননা রোগী দু’জনের হাড় ভাঙার মাধ্যমে অর্থোপেডিক সমস্যা রয়েছে। এছাড়া বাকি দু’জনের মধ্যে একজন ইমরান কবিরকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে দিল্লিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে। ইমরানের শ্বাসনালীসহ প্রায় ৩৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নেই। এছাড়া ইয়াকুব নামে আরেকজন নেপালে চিকিৎসারত অবস্থায় থাকবেন। সেখানে আমাদের পাঠানো মেডিকেল টিমের একজন চিকিৎসক থাকবেন এবং বাকি সবাই বাংলাদেশে ফিরে আসবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন