ইনকিলাব ডেস্ক : জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেলে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার তদন্ত সাপেক্ষে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করতে পারে তাহলে ঘটনায় জড়িত সদস্যকে মিশন থেকে বহিষ্কার করা হবে এবং তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে। শুধু তাই নয় ওই দেশ থেকে শান্তি মিশনে আর কোন সৈনিক নেয়া হবে না। জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার এসব কথা বলেছেন। যাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে সামরিক সদস্য, আন্তর্জাতিক পুলিশ, অন্যান্য শাখার কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরাও। সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ ওঠে আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর কয়েকটি দেশের শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে। জাতিসংঘের আইন অনুযায়ী, কারো বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ উঠলে, সংশ্লিষ্ট দেশ তার তদন্ত করবে এবং ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা রোধে জাতিসংঘের ব্যর্থতারও অভিযোগ ওঠে।
সামান্থা আরো বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে যে সব দেশ অংশগ্রহণ করছে এবং সদস্য দিয়ে সহযোগিতা করছে তারাও এ বাহিনীর অংশ। প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও মর্যাদা রক্ষা করাও তাদের ওপর বর্তায়। তিনি বলেন, সরকারকে অবশ্যই তাদের দায়িত্ব পূর্ণ ভাবে পালন করতে হবে। তাছাড়া যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিকে বিচারের মুখোমুখি করতে না পারলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সেবা করার বিশেষ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। তিনি বলেন, যারা নির্যাতিত হয়েছে ঘটনার পর দীর্ঘ সময় তারা দুর্ভোগের থাকতে হয়। কারণ, তারা তাদের সম্প্রদায়ের দ্বারা পরিত্যাজ্য এবং তাদের কি ঘটেছিল সে জন্য দায়ী করা হয়। উল্লেখ্য, এর আগে শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছরে যেসব যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস করা হয়। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশের মধ্যে চৌদ্দটি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও, মিশর নীরব থেকেছে। কারণ তাদের করা কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি। গতবছর জাতিসংঘের ১০টি মিশনের শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনের ৬৯টি অভিযোগ ওঠে। ২০১৪ সালে এই অভিযোগের সংখ্যা ছিল ৫২টি। টেলিগ্রাফ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন