ইনকিলাব ডেস্ক : সন্ত্রাসী হামলার ১২ দিন পর ফের কার্যক্রম শুরু হলো বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অবস্থিত জাভেনতেম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের। গত রোববার (০৩ এপ্রিল) বিমানবন্দরটির কার্যক্রম শুরু হয়। তিনটি প্রতীকী ফ্লাইটের মাধ্যমে প্রাণ ফিরে পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এখানে। এর মধ্যে প্রথম ফ্লাইটটি আন্তর্জাতিক সময় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট) পর্তুগালের ফারোর উদ্দেশে উড়াল দেয়। বাকি দুই ফ্লাইটের একটি যায় গ্রিসের অ্যাথেন্স, আর অপরটি যায় ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় শহর তুরিনে। এর আগে, গত শনিবার (০২ এপ্রিল) জাভেনতেম বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী আর্নড ফেইস্ট সাংবাদিকদের জানান, তিনটি প্রতীকী যাত্রীবাহী ফ্লাইটের মাধ্যমে বিমানবন্দরের আংশিক কার্যক্রম শুরু হয়।
গত ২২ মার্চ ব্রাসেলসে আত্মঘাতী হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এর মধ্যে জাভেনতেম বিমানবন্দরের ডিপার্চার হলে জোড়া আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন ১৬ জন। আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে অবস্থিত মায়েলবিক মেট্রোস্টেশনে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন ১৬ জন। এছাড়া এসব হামলায় আহত হন তিন শতাধিক। পরে জেহাদি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এসবের দায় স্বীকার করে নেয়। ইউরোপের প্রাণকেন্দ্রে এত বড় একটি হামলার পর জাভেনতেম বিমানবন্দরের এত স্বল্পসময়ে কার্যক্রম শুরু একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। সেই সঙ্গে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে, তাও কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক বেশি কড়াকড়ি করা হয়েছে। আর এ জন্য ফ্লাইটের যাত্রীদের নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে বলা হয়। যাত্রীরা বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে এরই মধ্যে পৌঁছেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এবার আগের পদ্ধতিগুলোর পাশাপাশি পাসপোর্ট ছাড়াও পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্রও খতিয়ে দেখা হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যানবাহন ও যাত্রীদের অস্থায়ী ডিপার্চার এলাকা দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। এখানে প্রবেশের আগে একবার করে স্ক্যান করে নেয়া হয় সবাইকে। সেই সঙ্গে বিশেষ ক্যামেরা বসানো হয় গাড়ির নম্বর টুকে রাখার জন্য। অতিরিক্ত পুলিশি নজরদারি ও নিরাপত্তা নিরীক্ষার মধ্যেও পড়তে হয় যাত্রীদের। বিবিসি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন