অভিবাসন বিতর্কে সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রাড। অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার বিষয়ে সরকারি কমিটিকে ‘অসাবধানতা বশত বিভ্রান্ত’ করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে তার (অ্যাম্বার রাড) পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। ‘আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে এ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে হচ্ছে। তবে এর কারণ বুঝতে সক্ষম হয়েছি’।
গত সপ্তাহে (২৪ এপ্রিল) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর (১৯৭৩ সালের আগে) যুক্তরাজ্যে আসা কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নাগরিকদের কোনও ডকুমেন্ট ছাড়াই ন্যূনতম ফি’র বিনিময়ে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা দেন অ্যাম্বার রাড।
অ্যাম্বার রাড অভিবাসন সংক্রান্ত সরকারি কমিটিকে জানান, এ বিষয়ে তার কোনো জ্ঞান ছিল না। অন্যদিকে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা দ্য গার্ডিয়ানকে রাড বলেছিলেন, ‘অভিবাসন কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে’।
অন্যদিকে ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডায়ান অ্যাবোটও বলেছেন, অ্যাম্বার রাড তার লক্ষ্যের কথা জানেন না। তাই এখন তার বিদায় নেওয়ার পালা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কমনওয়েলথভুক্ত ক্যারিবীয় দেশগুলো থেকে আসা উইন্ডরাশ জেনারেশনের ল্যান্ডিং কার্ড ধ্বংসের অভিযোগে সমালোচনার মুখে পড়েছিল সরকার। এ জন্যে উইন্ডরাশ জেনারেশনের কাছে ক্ষমাও চাইতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মে’কে।
উইন্ডরাশ জেনারেশন বিষয়ে সরকার ঘোষণা দিয়েছে ১৯৪৮ থেকে ১৯৭৩ সাল সময়ে যুক্তরাজ্যে কর্মজীবন কাটিয়ে যারা নিজ দেশে ফেরত গেছেন তারাও চাইলে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিতে পারবেন। এ জন্য ইংরেজি দক্ষতা যাচাই পরীক্ষা বা আবেদন ফি কিছুই লাগবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন