ইনকিলাব ডেস্ক : জাভিদ আহমাদ মাগরেই ১৫ বছর আগে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সাজানো বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন। ১৭ বছর বয়সী এই কিশোর ক্রিকেটার তখন উচ্চমাধ্যমিকে পড়ত। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের উপকণ্ঠে সায়েদাবাদ এলাকায় বুধবার নানা আয়োজনের মাধ্যমে তাকে স্মরণ করা হয়েছে। এ সময়ে পরিবার ও স্থানীয়রা এই নির্মম হত্যাকাÐের বিচার দাবিতে লড়াই করে যাওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। ২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল তাকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন সাজানো বন্দুকযুদ্ধে সেনাবাহিনী তাকে খুন করেছিল। এই হত্যার প্রতিবাদে তখন দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। সকাল-সন্ধ্যা হরতালে অচল হয়ে পড়েছিল পুরো কাশ্মীর রাজ্য। তখনকার মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মোহাম্মদ সাঈদ নিহতের পরিবারের কাছে ন্যায়বিচারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন। জাভিদ আহমেদের বাবা গুলাম নবি মাগরেই বলেন, সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠনের পর সে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে। রাজ্য কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ৯ সেনা কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করার অনুমতি চেয়েছিল। স্থানীয় পুলিশ ওই সেনাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মামলা করেছিল। গুলাম নবি মাগরেই বলেন, কেন্দ্রে পাঠানো রাজ্যে কর্তৃপক্ষের ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, নিহত জাভিদ একজন শিক্ষার্থী। সন্ত্রাসের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। অপহরণের পর আসাম রেজিমেন্টের সেনা কর্মকর্তারা তাকে হত্যা করেন। নিহত জাভিদের বিরুদ্ধে আসাম রেজিমেন্ট অস্ত্র মামলা করেছিল। সেনারা দাবি করেছিল, তার কাছ থেকে গোলাবারুদ ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের তদন্তে এসব অভিযোগ অসত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। কাশ্মীর পুলিশের দাবি, সেনা কর্মকর্তাদের অভিযোগ ছিল মিথ্যায় পরিপূর্ণ। জাভিদ পুরোপুরি নিরপরাধ। কিন্তু মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে তার পরিবার এখনও কিছু জানে না। ওয়েবসাইট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন