পিপলস লিবারেশান আর্মি-নেভি (পিএলএএন) এখানে ভারত মহাসাগরে থাকতে এসেছে এবং তাদের সামরিক বাহিনীর তৎপরতা এ অঞ্চলে চীনের উদ্দেশ্য নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ভারতের সবচেয়ে সিনিয়র সামরিক কমান্ডার এ কথা বলেছেন। নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লানবা বলেন, ভারত মহাসাগরে এই অঞ্চলের বাইরের দেশগুলোর নৌ শক্তি মোতায়েনের উপর নজর রাখছে ভারত। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ৫০টি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ দিন-রাত নজরদারি করছে। এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, “তাদের (পিএলএএন) সদরদপ্তর থেকে মোতায়েনের ব্যাপারটি দেখাশোনা করা হচ্ছে। গত এক দশকে নিজস্ব উপকূল থেকে দূরবর্তী এলাকায় দীর্ঘ সময়ের জন্য যুদ্ধজাহাজ পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করেছে চীন।” তিনি দেশের সর্বোচ্চ সামরিক নেতা। তিন বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে যে স্টাফ কমিটি রয়েছে, তিনি সেটার চেয়ারম্যান।এমন সময় লানবার এ মন্তব্য আসলো যখন চীনের আইওআর অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান তৎপরতা নিয়ে সারা বিশ্বে আলোচনা হচ্ছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসন চীনের প্রতি অভিযোগ করেছিল যে জিবুতির চীনা ঘাঁটির উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় মার্কিন বিমানগুলোর দিকে শক্তিশালী লেজার নিক্ষেপ করেছে চীন। নৌবাহিনী প্রধান বলেন, ভারতের চেয়ে চীনের আরও গভীর ‘পকেট’ রয়েছে। এবং এ অঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে নিজেদের অবস্থান এবং বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে তারা। লানবা বলেন, “জিবুতির মতো দেশগুলোর চীনের কাছে ঋণ নির্ভরতা রয়েছে”।জিবুতিতে চীনের ঘাঁটির কারণে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের সক্ষমতা এবং স্থায়িত্ব বেড়ে গেছে। ফেব্রুয়ারিতে, লানবা ‘দুর্বল দেশগুলোকে’ সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তাদের চেয়ে অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে বড় দেশগুলোর সহযোগিতার পেছনে কি উদ্দেশ্য রয়েছে, সে ব্যাপারে তাদের সতর্ক থাকা উচিত। অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল সুদর্শন শ্রীখান্ডে বলেন, “জাতীয় স্বার্থ রক্ষা ও তা এগিয়ে নেয়ার জন্য আইওআরের ব্যাপারে চীন খুবই মনোযোগী”।তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে চীনের সক্ষমতা আরও বাড়বে এবং তারা আরও বহুমুখী নৌ শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে। এবং ভারতের নৌ শক্তিকে ধারালো করতে হলে তাদেরকে আরও অনেক কিছু করতে হবে। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন