জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে হটিয়ে তাদের দখলে থাকা ভূমি পুনরুদ্ধারের পর এই প্রথম সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে ইরাকিরা।
শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে দেশটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
৩২৯ আসনবিশিষ্ট অ্যাসেম্বলির সদস্য হতে প্রতিদ্বন্দ্বী জোটগুলোর সদস্যসহ প্রায় সাত হাজার প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে চার বছরের যুদ্ধে বিপর্যস্ত ইরাক এখনো পুনর্গঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।-খবর রয়টার্সের।
তার মধ্যেই এবারের সাধারণ নির্বাচনকে দেশটির স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্পূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নির্বাচনে যারাই জিতুক না কেন, গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব ও বিচ্ছিন্নতাবাদের উত্তেজনাকে কমিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ পরিচালনাই তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
শনিবারের ভোটে অংশ নেয়া প্রার্থীদের বেশিরভাগই হয় সুন্নি না হয় শিয়া গোষ্ঠীর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এর বাইরে কুর্দিদেরও আলাদা তালিকা আছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে কুর্দি নিয়ন্ত্রিত স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান এক গণভোটের মাধ্যমে নিজেদের স্বাধীন ঘোষণার পথে এগিয়ে গেলেও বাগদাদ তাতে বাধা দেয়।
তুরস্কসহ সীমান্তবর্তী দেশগুলোও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে কুর্দিস্তানকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতেও এবারের ভোটে রমরমা প্রচার দেখা গেছে।
আইএস হটানো, দেশজুড়ে নিরাপত্তা বৃদ্ধিসহ নানান বিষয়ে ইরাকি জনগণ বর্তমান শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রশংসা করলেও অনেকেই সরকারের দুর্নীতি ও দুর্বল অর্থনৈতিক অগ্রগতির সমালোচনা করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন