বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভয়ঙ্কর সক্রিয় আগ্নেয়গিরি হাওয়াই দ্বীপের কিলাওয়েয়া লাভায় তলিয়ে গেছে ১৪৪ বর্গ কি.মি.

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চলতি মে মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপের সক্রিয় আগ্নেয়গিরি কিলাওয়েয়া হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়ে ওঠে। জ্বালামুখ থেকে উদগিরণ হতে থাকে টগবগ করে ফুটতে থাকা লাভা, ছাই ও ধোঁয়ার কুন্ডলী আর গ্যাস। দুই সপ্তাহ পর এখনও অগ্ন্যুৎপাত। এ আগ্নেয়গিরির নাটকীয় কিছু ছবি এর পর থেকে বিস্ময় তৈরি করেছে অনেকের মধ্যে। হাওয়াই দ্বীপের সবচেয়ে শক্তিশালী আগ্নেয়গিরি হল এ কিলাওয়েয়া। ১৯৮৩ সাল থেকে এর পূর্ব অংশ থেকে সারাক্ষণই লাভা বের হয়। সেই লাভার ঝরনা আর তার স্রোতে ১৪৪ বর্গকিলোমিটার এলাকা তলিয়ে গেছে। প্রায় সাড়ে ১৪ কিলোমিটার রাস্তা ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু আগ্নেয়গিরিটির কারণে দ্বীপের সঙ্গে নতুন জমিও তৈরি হয়েছে। ২০০৮ সালে গ্যাস বের হওয়ার নতুন মুখ তৈরি হতে থাকে। কয়েক বছর ধরে আস্তে আস্তে আগ্নেয়গিরিটির জ্বালামুখে রীতিমতো লাভার লেক তৈরি হয়ে গেছে। এ বছরের মার্চ ও এপ্রিলে বন্যার পানির মতো গনগনে সেই লাভার উচ্চতা বাড়তে থাকে। আবার কয়েক সপ্তাহ পর আবার তা নেমে যায়। কিলাওয়েয়ার লাভাকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে গরম। জ্বালামুখের আশপাশে রয়েছে নালার মতো। সেগুলো থেকে ধীরে ধীরে যখন লাভার স্রোত নামতে থাকে তার ওপরের অংশে আস্তরণ তৈরি হয়। কিন্তু নিচের দিকে ঠিকই চলে লাল গনগনে লাভার স্রোত। একই সঙ্গে আস্তে আস্তে স্তর পরে যাওয়া কালো শুকনো লাভা সামনে এগোতে থাকে। মনে হয় যেন সিমেন্টের বøক কিন্তু অনেক বেশি কালো তার রঙ। তার নিচে ধ্বংস হতে থাকে জমি। কখনও স্তর ভেঙে বেরিয়ে আসে নতুন সরু ধারা। ভূতাত্তি¡করা ১৯৯২ সাল থেকে কিলাওয়েয়া আগ্নেয়গিরির ওপর নজর রাখছেন। কীভাবে পৃথিবীর মাটির আবরণের নিচে এর কার্যক্রম চলে সে সম্পর্কে তাদের বেশ ধারণা হয়েছে। তাদের মতে, উদগিরণের ধাপে ধাপে ভূপৃষ্ঠে নতুন ফাটল দেখা দেয়। এর কোনটা দিয়ে গরম গ্যাস বের হয়। আবার কোথাও থেকে জ্বলন্ত লাভা। আস্তে আস্তে লাভা লেকে লাভার উচ্চতা কমতে থাকে এবং তা ভূপৃষ্ঠের পানির স্তরে নেমে যায়। এ সময় বিস্ফোরণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ভূপৃষ্ঠের পানির সঙ্গে মিশে গেলে ধোঁয়ার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তৈরি হওয়া গ্যাসে থাকে সালফার ডাই-অক্সাইড, যা বাতাসের মান নষ্ট করে দেয়। তার ফলে শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমার প্রকোপ বাড়ে। আগ্নেয়গিরি নিয়ে বহু গবেষণা হলেও এর অনেক আচরণ এখনও সঠিকভাবে পূর্বাভাস দেয়া যায় না। বিবিসি বাংলা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন