শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আশ্রয়প্রার্থীদের বহিষ্কারের নিন্দা প্রতিবাদে নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ

প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ১৮৫ জন আশ্রয়প্রার্থীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ করেছে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা একটি সংগঠন। নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে দেশিজ রাইজিং আপ এ্যান্ড মুভিং- ডাম এর উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। গত ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের এ আশ্রয়প্রার্থীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বক্তারা আশ্রয়প্রার্থী নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়ার তীব্র সমালোচনা করে এ ধরনের অমানবিক পদক্ষেপ বন্ধ করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, আশ্রয়ের আবেদন জানানো ব্যক্তিদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিলে তারা ভয়াবহ নির্যাতন ও বর্বরতার শিকার হতে পারেন। নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রে আসা লোকজনকে গ্রেপ্তার করে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়ার পর অনেকেই নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছেন, বলেন ড্রামের সংগঠক কাজী ফৌজিয়া। 

সেন্ট্রাল আমেরিকার দেশগুলোতে এমন বর্বরতা চলছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাদেরকে বহিষ্কার করা হয়, সকলকেই ক্ষমতাসীন দলের মাস্তানেরা মেরে ফেলেছে। ফেরত যাওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের মেরে ফেলার প্রতিবাদে সমাবেশ স্থলে তিনটি প্রতীকী লাশও রাখা হয়। দেশে ফিরে গেলে হামলা ও নির্যাতনের আশঙ্কা করছেন আশ্রয়প্রার্থী সাইফুল ইসলামও। ফিরে গেলে হয় মরতে হবে, নয়তোবা গুম হতে হবে, অথবা ক্রস ফায়ারে পড়তে হবে, বলেন এ যুবক। দালালকে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়ে ১৭ দেশ ঘুরে আমেরিকায় আসার পর বছরখানেক ডিটেনশন সেন্টারের অমানবিক পরিবেশে থেকেও আশ্রয় না পাওয়ার আক্ষেপের কথা জানান তিনি।
শুনেছিলাম আমেরিকা মানবাধিকারের দেশ। অথচ ক্যালিফোর্নিয়ার অরেঞ্জ কাউন্টি ডিটেনশন সেন্টারে একবছর ধরে আমাকে আটকে রাখা হয়েছে। দিনের ১৯ ঘণ্টা ছোট্ট একটি সেলে তালাবদ্ধ অবস্থায় কাটিয়েছি, তবুও আমার এসাইলাম নেয়া হয়নি। বেঁচে থাকার আর কোন অবলম্বন নেই ভেবে অনশন শুরু করি। এরপরই জামিন পাই। যারা মুক্তি পাননি তাদেরকে এখন দেশে পাঠিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, বলেন সাইফুল। সমাবেশে ডিটেনশন সেন্টার থেকে জামিন পাওয়া কামরান আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন নিষ্ঠুর আচরণের বিরুদ্ধে সমগ্র মানবতার ঐক্য গড়ে উঠা উচিত। নিউ ইয়র্কে ইউনাইটেড এদিকে, বহিষ্কারের অপেক্ষায় থাকা ১৬৭ জনের পক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী জেহ জনসনকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান জোসেফ ক্রাউলি, কংগ্রেসনাল এশিয়ান প্যাসিফিক আমেরিকান ককাসের চেয়ার এমিরিটাস ও ইমিগ্রেশন টাস্ক ফোর্সের চেয়ার মাইক হুন্ডা ও কংগ্রেসনাল এশিয়ান প্যাসিফিক আমেরিকান ককাসের চেয়ার জুডি চু। এসব চিঠিতে তিন কংগ্রেসম্যান আশ্রয় আবেদন পর‌্যালোচনার স্বার্থে বহিষ্কার কার্যক্রম স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। বিবিসি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন