ইনকিলাব ডেস্ক : কিভাবে বেরিয়ে এলো তা জানা নেই দাবি করলেও জার্মান সংবাদপত্র জুডডয়েচে জেইটাং সম্পাদক বলেছেন যে তারা জনস্বার্থেই মোসাক ফনসেকার নথিগুলো ফাঁস করেছেন। পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় এবং একজন সরকারপ্রধানের পতন ও অনেকের চাপে থাকার মধ্যে সংবাদপত্রটির প্রধান সম্পাদক ভুলফগ্যাং ক্রাখ একথা বলেছেন। জুডডয়েচে সাইটুং এর সাংবাদিকরা মোস্যাক ফনসেকার মাধ্যমে অফশোর লেনদেন সংক্রান্ত লাখ লাখ নথি পাওয়ার পর তা ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টকে দেয়। তাদের মাধ্যমে তা প্রকাশ হলে বেরিয়ে আসে, বিশ্বের ধনী আর ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা কোন কৌশলে কর ফাঁকি দিয়ে কীভাবে গোপন সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। গত ৪০ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি রাজনীতিবিদসহ তাদের ক্ষমতাশালী মক্কেলদের কীভাবে অর্থ পাচারে সহযোগিতা করেছে, নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর এবং কর ফাঁকি দেয়ার পথ দেখিয়েছে, সেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে এসব নথিতে। এতে করে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন ওইসব ব্যক্তিরা।
এসব নথি ফাঁসের পর জনদাবির মুখে ইতোমধ্যে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমুন্ড গুনলাগসন পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের চিলি চ্যাপ্টারের প্রধানকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। ভুলফগ্যাং ক্রাখের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জন ডো নামে নিজেদের পরিচয় দেয়া একটি সূত্র প্রায় এক বছর আগে মোস্যাক ফনসেকার অভ্যন্তরীণ এ তথ্য প্রকাশের প্রস্তাব দিয়ে পত্রিকাটির সঙ্গে যোগাযোগ করে। জুডডয়েচে এসব নথিপত্র প্রকাশের আগে এর সবগুলো সত্য কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন অনুধাবন করে অন্যান্য গণমাধ্যম সংস্থাগুলোর কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে কাজ শুরু করে। ক্রাখ জার্মানির মিউনিখ থেকে টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, আমরা জানি না কীভাবে এই সূত্রটি তথ্য নিয়ে এসেছিল। মোস্যাক ফনসেকা দাবি করছে, তারা হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন, আমি জানি না, এটা সত্যি কিনা। আমি এটা নিশ্চিত করতে পারব না। মোস্যাক ফনসেকা গোপনীয়তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক একটি প্রচারণার শিকার হয়েছে দাবি করে তাদের কার্যক্রমে কোনো ধরনের অসততার কথা অস্বীকার করেছেন আইনি সেবাদাতা এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান। এসব নথির বিশ্বাসযোগ্যতা এবং জনস্বার্থের দিকটি থেকে তথ্যগুলোর উৎসকে কম গুরুত্বপূর্ণ বলে করেন জুডডয়েচে সাইটুংর কো-এডিটর ইন চিফ ভুলফগ্যাং ক্রাখ। তিনি বলেন, আমরা জানি না ওই উৎস আইন মেনে নাকি বেআইনিভাবে এসব নথি হাতে পেয়েছে। আমরা বলতে পারব না। আমাদের হাতে আসা তথ্য বিশ্বাসযোগ্য কি না এটাই ছিল প্রথম প্রশ্ন, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। আর দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল, এটা প্রাসঙ্গিক যা আমরা তা প্রকাশ করতে পারি? রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন