আফগানিস্তানে গতকাল শিখদের লক্ষ্য করে চালানো আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট। ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন আগামী নির্বাচনের প্রার্থী শিখ নেতা আভতার সিং খালসা। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি একটি হাসপাতাল উদ্বোধনের জন্য নানগারহার প্রদেশের জালালাবাদ শহরে গিয়েছিলেন। সেখানে হাসপাতাল উদ্বোধনের ঘন্টাখানেক পরেই ওই আত্মঘাতী বোমা হামলাটি চালানো হয়। হামলায় মারা গেছেন অন্তত ১৯ জন। নিহত হয়েছেন আরও ২০ জনের মতো। সংবাদমাধ্যম বিবিসি লিখেছে, আমাক নিউজ এজেন্সি ওই হামলায় ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদের সম্পৃক্ততার কথা নিশ্চিত করেছে।
রবিবার আফগানিস্তানে হওয়া আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই শিখ ধর্মাবলম্বী। তারা প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সঙ্গে দেখা করতে একটি গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। আত্মঘাতী হামলাকারী ওই গাড়িটি লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণের স্থান শহরের মুখাবেরাত স্কয়ারের ভবন ও দোকানপাট ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কাবুলের ভারতীয় দূতাবাস শিখ নেতা আভতার সিং খালসার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে। নানগারহার প্রদেশের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা নাজিব কামওয়াল জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৭ জনই শিখ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে, প্রায় পুরো দেশ মুসলমান অধ্যুষিত হলেও আফগানিস্তানে এখনও প্রায় হাজারখানেক শিখ ও হিন্দু বাস করেন। এই হামলার মাত্র একদিন আগে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি অস্ত্রবিরতি চুক্তির সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন এবং জানিয়েছেন তালেবানদের বিরুদ্ধে আগের মতো অভিযান চলবে। আফগান সরকার নিজে থেকেই ১৮ দিনের অস্ত্র বিরতি ঘোষণ ঘোষণা করেছিল। আফগান তালেবান শুধু ঈদের জন্য ৩ দিনের অস্ত্র বিরতি ঘোষণা করে। তারা এর বেশি সময় অস্ত্র বিরতির বিষয়ে অনিচ্ছুক ছিল। আর তাই আশরাফ ঘানিকেও আবার সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দিতে হয়েছে। তবে আগের ওই অস্ত্র বিরতিতে সংশ্লিষ্ট সবাই খুশি হয়েছিলেন। আফগান তালেবান শান্তি আলোচনা চায়। কিন্তু তাদের শর্ত, তারা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করবে; আফগান সরকারের সঙ্গে নয়। যুক্তরাষ্ট্র তালেবানদের ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আসছে। দেশটিতে ছোট পরিসরে হলেও ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর উপস্থিতি রয়েছে। নানগারহার প্রদেশে তাদের প্রভাব উপেক্ষা করার মতো নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন