জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে বন্যার ধ্বংসযজ্ঞে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ এ দাঁড়িয়েছে।
এদের মধ্যে ১৩ জন মারা গেছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। সোমবার থেকে উদ্ধার অভিযান জোরদার করা হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাতের সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সকল বৈদেশিক সফর বাতিল করেছেন বন্যার্তদের পাশে থাকার জন্য।
জাপানের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, হিরোশিমা, সাগা, ফুকুওকা, ইয়ামাগুচি, ওকায়েমা, হিয়োগো, কিয়োতো, এহিম, কোচি, শিগা এবং গিফু এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাতে বন্যা দেখা দেয়। কোনও এলাকায় ভূমিধসের সৃষ্টি হয়। বন্যা ও ভূমিধসে এখনও অনেক নিখোঁজ রয়েছে বলে জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এই বন্যা ও ভূমিধসের ক্ষয়ক্ষতি ও নিখোঁজদের খোঁজে ৭০ হাজার মানুষ কাজ করছে। প্রায় ১২ হাজার মানুষ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করছে।
কয়েকহাজার ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ১৭ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। ২০ লাখের বেশি মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। অনেককে বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিতে দেখা যায়। এছাড়া বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপে জীবিতদের উদ্ধারে ব্যাপক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
হিরোশিমার মিহারা শহরের বাসিন্দা ইউমেকো মাতসুই বলেন, আমাদের টয়লেট নষ্ট হয়ে গেছে। খাবার ফুরিয়ে যাচ্ছে। শনিবার থেকে খাবার পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
১৯৮২ সালে জাপানে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় তিন শতাধিক মানুষ মারা গিয়েছিল। গেলো তিন দশক পর এ বন্যাটিই সবচেয়ে ভয়াবহ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আবহাওয়ার অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতি হওয়ায় উদ্ধারকাজে গতি আসবে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ধারণা।
সুন্দরবনের কুখ্যাত হরিণ শিকারী সাত্তার মোড়লের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন