জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহর বাসভবনের গেট ভেঙে শনিবার গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ে এক অনুপ্রবেশকারী। গাড়ি থেকে নেমেই বাড়ি ভাংচুরের চেষ্টা করলে নিরাপত্তা কর্মীরা গুলি চালায়। তাতে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। ওই ব্যক্তির কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না। ফারুক ও তার পুত্র সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ কেউই সেসময় বাড়িতে ছিলেন না। ধস্তাধস্তিতে জখম হয়েছেন এক নিরাপত্তা কর্মী। ফারুক আবদুল্লাহর নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যায় ওই অনুপ্রবেশকারীর দেহ। পুলিশ পরে ওই হামলাকারীর কাছ থেকে একটি আধার কার্ড উদ্ধার করেছে। সেই কার্ড থেকে জানা যায় হামলাকারীর নাম মুরাদ আলি শাহ। বাড়ি সীমান্তবর্তী জেলা পুঞ্চে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তাকে বারবার সতর্ক করা হচ্ছিল, কিন্তু সে শোনেনি। গেটে দাঁড়ানো সিআরপিএফের নিরাপত্তারক্ষীরাই নিষেধ করছিল তাকে। সিআরপিএফ বা সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে এই কথা জানানো হয়। পুলিশ কর্মকর্তা বিবেক গুপ্ত বলেন, ‘প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েছিল ওই অনুপ্রবেশকারী। দায়িত্বরত কর্মকর্তার সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়। ফলে আহত হন দায়িত্বরত কর্মকর্তা। এছাড়া বেশ কিছু সম্পত্তিরও ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওই ব্যক্তি ঘরে ঢুকতে উদ্যত হলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।’ পিটিআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন